শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি বিকশিত হয়েছে: ফরহাদ হোসেন

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি:

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে দেশে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি বিকশিত হয়েছে। জনগণের জন্য সরকার যে কাজগুলো করছে সাংবাদিকেরা তা তুলে ধরছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমী মিলনায়তনে বিসিএস প্রশাসন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালেয়র যৌথ আয়োজনে সচিবালয়ে কর্মরত রিপোর্টারদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআর এফ) সাথে ‘সুশাসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। অনুষ্ঠান শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী সাংবাদিকদের হাতে সনদ তুলে দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে। দিনে দিনে সাংবাদিকতার উন্নতি হচ্ছে। এবিষয়ে সরকার সব সহযোগিতা দেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম বিষয় হচ্ছে মানুষ হিসেবে ভালো হওয়া। একজন ভালো মানুষ শিক্ষক হিসেবে সাংবাদিক হিসেবেও ভালো হবেন। সুশৃঙ্খল স্বাধীনতাই পারে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে।

বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের প্রসঙ্গ টেনে ফরহাদ বলেন, অনেক মিডিয়া এসেছে, এতে কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, প্রতিযোগিতা বাড়ছে। যারা মিডিয়া করছেন, তারাও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাজের পরিধি বাড়ছে, নতুন নতুন টেকনোলজি আসছে, আমরাও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে চাই।

ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থাকলে যেমন একজন ভাল মানুষ হওয়া যাবে, তেমনি একজন ভাল সাংবাদিকও হওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় ইতিবাচক প্রতিযোগিতা গণমাধ্যমকে যেমন সমৃদ্ধ করে তেমনি গণতন্ত্র ও সুশাসনকেও শক্তিশালী করে। আর পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকেও একটি নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। আর সেটি হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সরকারের সমালোচনা করুন, তবে সেটির তথ্য সঠিক হতে হবে। সাংবাদিক কাউকে জেল দিতে পারে না, তার লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধীকে লজ্জিত করা। অপরাধী যেনো মনে করে অপরাধ করলে লজ্জায় পড়তে হবে। সে কারণে অপরাধ থেকে দূরে থাকবে। সাংবাদিকতার প্রাণ হচ্ছে সম্পাদনা। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওয়ান ম্যান শো, কোথায় সেখানে সম্পাদনা। অনেকে সাংবাদিকতায় এলেও নানা কারণে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মেধাবীদের ধরে রাখার জন্য যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।

প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
কর্মশালায় রুলস অব বিজনেস এন্ড এ্যালোকেশন অব বিজনেসের ওপর আলোচনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’র ওপর আলোচনা করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’র ওপর আলোচনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (সিটিটিসি)’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম।

এনএফ/এসএস।


শেয়ার করুন

Similar Posts