আমনের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে, উৎপাদন ২০ ভাগ বাড়বে
আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এ বছর অতিক্রম করবে। দেশের প্রধান শস্যের এ ফলন প্রত্যাশার চেয়েও হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)’র একজন মুখপাত্র একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ বছর আমন উৎপাদন প্রাক্কলিত উৎপাদনের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হবে।’
ডিএই’র ফিল্ড সার্ভিস উইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুহু বলেন, আমনের প্রাক্কলিত ফলন ১৬৩ মিলিয়ন টনের বিপরীতে এখন ১৭০ মিলিয়ন টনের বেশি হতে পারে।
সারা দেশে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে এই প্রধান ফসল কাটার কাজ চলছে এমন সময় তার এ মন্তব্য এসেছে। এদিকে কৃষকরা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন।
ডিএই কর্মকর্তারা আভাস দেন, এ পর্যন্ত ১৮ শতাংশ শস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আমন ফসল মোট ধান উৎপাদনের ৩৮ শতাংশ এবং এর অবস্থান বোরোর পরে, দ্বিতীয়।
আবদুহু এবং ডিএই-তে তার সহকর্মীদের মতে, ঘূর্ণিঝড় আমন উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কার বিপরীতে শরৎকালের শেষের দিকে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত ফলন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেশি ছিল। ‘কিন্তু শেষ পর্যন্ত উৎপাদন বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।’
ডিএ’র সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুয়ীদ বলেন, তারা গত মাসগুলোতে একটি খরার মতো পরিস্থিতির কারণে আমন উৎপাদন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন, যা একটি ছত্রাক সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তবে বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত এ জাতীয় পরিস্থিতি রোধ করে।
তিনি বলেন, ‘এটি (ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং) বরং আশীর্বাদ হিসাবে উপস্থিত হয়েছে।’
সরকারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছর সামগ্রিক আমন এলাকার কভারেজ ছিল ৫৯.০৬ লাখ হেক্টরের বেশি, যেখানে গত দুই বছরে তা যথাক্রমে ৫৭.২০ লাখ এবং ৫৬.২৫ লাখ হেক্টরের বেশি ছিল না।
এফএও’র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে ৩৭.৪ মিলিয়ন টন এবং ২০২১ সালে ৩৭.৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে ছিল।