সরকার দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সিলেট সমাবেশে মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মানুষ এখন আর শান্তিতে নেই। নতুন করে তেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে।
আজ শনিবার বিকালে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপি’র বিভাগীয় গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। এতে বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১৪ বছর ধরে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে শেখ হাসিনার সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই সরকারের বিচার হবে জনতার আদালতে। মানুষের অধিকার হরণ করার জন্য এই বিচার হবে। এদের ছাড়া হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইলিয়াস আমাদের মাঝে নেই। সে বেঁচে আছে কিনা, বেঁচে থাকলে কোথায় আছে আমরা জানি না। কিন্তু ইলিয়াস আলীর স্ত্রী দমে থাকেননি। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে লড়াইয়ে আছেন।
তিনি বলেন-নতুন করে সরকার মামলা মামলা খেলা করছে। হঠাৎ করে মামলা দিচ্ছে। সরকার আবারো মিথ্যা মামলা করে অনেককেই কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন- ‘সুদের টাকা দেয়ার সামর্থ বর্তমান কোষাগারে নেই। আজ গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে ইলিয়াস আলীর মতো। আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে এম ইলিয়াস আলীকে খুঁজছি। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দেবো- আমরা সেই আন্দোলনই করছি। আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্য দেশে আছেন। তিনি কী সাধ করে আছেন।
তিনি বলেন, তিনি জীবনের ঝুঁকির কারণে দেশে আসছেন না। তাকে বেআইনীভাবে গ্রেপ্তার করে কোমরের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন- ‘১০ই ডিসেম্বর যাক তারপর খেলায় নামবো আমরা। এই সরকার জনগণের নয়। এ কারণে সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন করুন। দেখবেন কী হয়।