টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটকের আগমন
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কয়েক হাজার পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে চলছে। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পরে লম্বা ছুটিগুলোতে অগ্রীম বুকিং হচ্ছে সকল হোটেল-মোটেলগুলো। আগামী ২৩, ২৪ ডিসেম্বরের সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বরের বড়দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় বুকিং হয়েছে প্রায় ৯০শতাংশ হোটেল।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।
তিনি আরো বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বড়দিনের ছুটি মিলে লম্বা একটি ছুটি হওয়ায় বছরের শেষদিকে ব্যাপক পর্যটক পাওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছি আমরা। এই ছুটিতে ইতোমধ্যে ৯০শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে এই ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটা আসলে পর্যটকদের জন্য পরামর্শ, অবশ্যই অগ্রীম হোটেল বুকিং দিয়ে আসার জন্য।
কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় ডিসেম্বর মাস শুরুর সাথে সাথে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পেশার ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের আগমনের পূর্বে তাদের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য হোটেল-মোটেল সহ ১৬টি পেশার মানুষ কাজ করছে। প্রতিটি পেশাজীবীদের প্রত্যাশা এবছর সবচেয়ে বেশী পর্যটক আগমন ঘটবে।
হৈমন্তী ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী এসএম আলমাস বলেন, যখন কুয়াকাটায় অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপ থাকে তখন কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম ভাড়া দেয়ার আসায় থাকে। যখন কেউ রুম বুকিং না দিয়ে এখানে চলে আসে তখন ওই সকল অসাধু লোকগুলো সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম বুকিং দেয়। অগ্রীম বুকিং দিয়ে আসলে এই সমস্যা আর হয় না।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। তাতেই মনে হচ্ছে আগামী কাল শুক্রবার তিল ধারনের ঠাই হবেনা কুয়াকাটা। তাই আমরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে যাতে কেনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকদের সেবা দিতে পারি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। তারপরেও আমরা ক্রাউড সময়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি যাতে নির্বিঘ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়।
গোফরান পলাশ, কলাপাড়া