বঙ্গোপসাগরে গভীর রাতে মাছ ধরা ট্রলার আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত, ১৩ জেলে উদ্ধার

শেয়ার করুন

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় গভীর রাতে এফবি মার্জিয়া নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ট্রলারে থাকা ১৩ জেলের সবাইকে মাছ ধরা টলিং জাহাজ উদ্ধার করেছে। এতে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন মৎস্য বন্দর আলীপুরের ট্রলার মালিক মোঃ মোস্তফা খলিফা।

উদ্ধারকৃত জেলেরা হলে ট্রলার মাঝি জয়নাল ফরাজী, মুছা ফরাজী, দুলাল হাওলাদার, তামিম খান, সালাউদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, আমির হোসেন, শাহআলম, শাহজালাল, ইসমাইল মোল্লা, সবুজ, ইউসুফ ও ফখরুল ইসলাম।

মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে আসা ট্রলারে জেলেরা জানিয়েছেন, গত ২৮ ডিসেম্বর আলীপুর ঘাট থেকে ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায়। গতকাল গভীর রাতে ব্যাটারীর সংযোগ থেকে আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যে ট্রলারে থাকা তৈলে আগুন ছড়িয়ে যায়। জেলেরা আগুন নিভানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়ে দেড় ঘন্টা সমুদ্রে ভাসতে থাকেন। পরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দূর থেকে একটি জাহাজ এসে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করে আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী’র মালিকানাধীন এফবি এলমা-২ ট্রলারে ঘাটে পাঠিয়ে দেয়। আজ দুপুর দুইটার দিকে ট্রলারটি ঘাটে এসে পৌছায়।

ট্রলার মাঝি জয়নাল ফরাজী বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ আগুন দেখে নিভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ট্রলারের জ্বালানি তেলে আগুন ছড়িয়ে পরায় নিভানো সম্ভব হয়নি। আমরা সবাই ট্রলারের সম্মুখ ভাগে চলে আসি। এক পর্যায়ে ট্রলারে টিকতে না পেরে সকলে সমুদ্র ঝাপ দিয়ে ভাসতে থাকি। ঘণ্টাখানেক পরে চট্টগ্রাম এলাকার একটি জাহাজ এসে আমাদের উদ্ধার করে। সকালের দিকে ট্রলারটি সম্পূর্ণ পুড়ে সমুদ্রে ডুবে যায়। পরবর্তীতে এফবি এলমা-২ ট্রলার আমাদের জাহাজ থেকে তুলে ঘাটে নিয়ে আসে। এখন আমরা সবাই সুস্থ্য আছি।

ট্রলার মালিক মোস্তফা খলিফা বলেন, আমার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রয় করে শখের বশে ট্রলার নির্মাণ করেছিলাম। এটি ছিলো আলীপুর এলাকার সবচেয়ে বড় ট্রলার। ট্রলারটি পুড়ে যাওয়ায় আমার কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য আবুল হোসেন কাজী বলেন, ট্রলারটি পুড়ে যাওয়ায় মোস্তফা খলিফার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts