ব্রিজ নির্মাণ ও পরিকল্পনায় অসঙ্গতি তুলে ধরলেন ডিসিরা

পরিকল্পনায় অসঙ্গতি
শেয়ার করুন

ডিসি সম্মেলনে ব্রিজ নির্মাণ ও পরিকল্পনায় অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন জেলাপ্রশাসকরা।
মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের সাাথে চলা বৈঠকে তারা এ অসঙ্গতি তুলে ধরেন।

প্রশাসকদের (ডিসি) মতে অনেক প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। কারণ প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো হলে জনবল নেওয়া হচ্ছে না। এ জনবলের অভাবে এমন ঘটনা ঘটছে।

দ্বিতীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে ডিসিরা বলেছেন, দেশের কোন কোন জায়গায় কাছাকাছি জনবসতি না থাকলেও একটি বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। জনবসতির তুলনায় ছোট হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে ডিসিরা এসব অসঙ্গতির কথা তথ্য তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, এই অসঙ্গতিগুলো তারা দেখছেন। এসব অসঙ্গতি দুর করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে ডিসি সম্মেলন উদ্বোধনের পর রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে প্রথম অধিবেশন শুরু হয় অর্থ বিভাগের সঙ্গে। ওই বৈঠকে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিরয় সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সম্মেলন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদরে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার পর দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা ঘিরে জেলা প্রশাসকগন প্রস্তাব দিয়েছেন। বরিশাল শহরে একটি অর্থনৈতিক জোনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং বরিশাল বিভাগে একটি অর্থনৈতিক জোন করতে বলেছেন তারা।

এছাড়া নরসিংদীতে অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো যাচাই করে দেখা হবে। অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের সম্ভাবনা থাকলে সরকার তা করবে।
সামনে নির্বাচন। জেলা প্রশাসকদের কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি।

রাজস্ব আহরনে কোন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মসিউর রহমান বলেন, ২০২২ সালে জেলা প্রশাসকদের একটি প্রস্তাব ছিল। সেটি নওগার সাতাহারে একটি শুল্ক স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে। এরই মধ্যে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ একটি জবাব দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, নওগার কাছাকাছি রহনপুরসহ দুটি স্থানে দুটি শুল্ক স্টেশন আছে। নতুন করে সাতাহারে শুল্ক স্টেশন করা যুক্তি সঙ্গত নয়। ডিসিদের প্রস্তাবে আরও ছিল সাতাহার শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে কি কি পণ্য রফতানি করা যায়। জবাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বলেছে ভারত এই স্টেশন দিয়ে কি কি আমদানি করবে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে সাড়া মিলেনি।

মসিউর রহমান আরও বলেন, এখান থেকে ভারতে যেসব পণ্য রফতানি করছি এবং ভারত আমদানি করছে সবগুলোই শুল্ক স্টেশন দিয়ে করা যায়। তবে সব জায়গায় শুল্ক স্টেশনের সক্ষমতা এক রকম নয়। ফলে ক্ষেত্র বিশেষ আইটেমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ভারত কি কি পণ্য আমদানি করবে সে ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য রফতানির আইটেমগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।


শেয়ার করুন

Similar Posts