তালতলীতে গৃহবধুকে গরম খুন্তির ছ্যাকা
তালতলী উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৪৮) নামের এক গৃহবধুকে ভাসুর আবুল হোসেন, ননদ জেসমিন ও জা রাজিয়া বেগম নির্যাতন শেষে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু এমন অভিযোগ করেন। আহত গৃহবধুকে ভাই হাবিব চৌকিদার উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের বাবুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে তার মা সেতারা বেগম মারধরের অভিযোগ এনে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাবুল গত বৃহস্পতিবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমানে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। স্বামী বাবুল হাওলাদারকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার অনুরোধ করতে স্বাশুড়ী সেতারা বেগমের কাছে শুক্রবার রাতে যান বাবুলের স্ত্রী জাহানারা বেগম। ওই সময় কুয়েত প্রবাসী ভাসুর আবুল হোসেন, ননদ জেসমিন ও জা রাজিয়া বেগম তাকে অমানষিক নির্যাতন করে। এক পর্যায় তারা গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় এমন অভিযোগ জাহানারা বেগমের। খবর পেয়ে জাহানারা বেগমের ভাই মোঃ হাবিব চৌকিদার তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ লুনা তাকে শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
আহত জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ী মামলা করেছেন। ওই মামলায় আমার স্বামী জেল হাজতে রয়েছেন। স্বামীকে জেল হাজত থেকে জামিনে আনতে শ্বাশুড়ীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করি। ওই সময় আমাকে ধরে ভাসুর আবুল হোসেন, ননদ জেসমিন ও জা রাজিয়া অমানুষিক নির্যাতন করে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়ে রাস্তায় পাশে ফেলে রেখেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
জাহানারা বেগমের ভাই হাবিব চৌকিদার বলেন, খবর পেয়ে রাস্তায় পাশ থেকে বোনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পেরন করেছে।
অভিযুক্ত রাজিয়া বেগম বলেন, এ সকল ঘটনা মিথ্যা। মামলা দিয়ে ফাসাতে সাজানো নাটক তৈরি করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, জাহানারা বেগমের মুখমন্ডল, হাত, পা, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুন্তির ছ্যাকা দেয়ার চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।