রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়নে পাবনায় আনন্দের বন্যা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ার খবরে পাবনায় বইছে আনন্দের বন্যা।
রোববার সকালে রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের খবর জানাজানি হলে শহরবাসীর মুখে-মুখে বিষয়টি প্রচার হতে থাকে।
সংসদে আওয়ামী লীগর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হচ্ছেন নতুন রাষ্ট্রপতি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
জাতির পিতার স্নেহধন্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চপ্পুকে রাষ্ট্রপ্রতি মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এসপি সহ পাঁচ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, পাবনা পৌরসভা, পাবনা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন ও ব্যাক্তি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সুশীল সমাজের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভীড়। শুরু হয় মিষ্টি মুখ করানো ও আনন্দ উল্লাস ও তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক পথচারী ও রিকশাচালকদের মধ্যে মিষ্টি মুখ করান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করেন। শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি সোহেল হাসান শাহীনের নেতৃত্ব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম বলেন, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আমাদের অহংকার ও গর্বের। তিনি একজন নিরহংকার ও সজ্জন মানুষ। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেয়ায় আমরা খুব আনন্দিত। একজন যোগ্য মানুষকে তার যোগ্য সম্মান দেয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এমন একজন সৎ সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিকে দেশের রাষ্ট্রপতি মনোনীত করায় পাবনাবাসী আবেগ আপ্লুত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এমন সংবাদে শুধু আমরাই নয় সমস্ত পাবনাবাসী আনন্দিত।
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আবদুর রহিম বলেন, এমন সংবাদে আমরা আনন্দিত, সত্যেই দীর্ঘদিন পর পাবনাবাসী রাষ্ট্রপতি পেলেন।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শরফুদ্দিন আনছারী ও মাতা খায়রুন্নেসা।