আমতলীতে অবৈধ ইটভাটি ধ্বংস,চুল্লি মিস্ত্রির ছয় মাসের সাজা
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স বিহীন ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর অভিযোগে আমতলী উপজেলার খলিয়ান বাসস্ট্যান্ডের এমএমএইচ ইটভাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একই সাথে ইটভাটি চুল্লি মিস্ত্রি মোঃ বাদল খাঁনকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচ টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম অভিযান পরিচালনা শেষে এ আদেশ দেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার খলিয়ান বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এমএমএইচ ইটভাটিটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই কাঠ দিয়ে ইট পুড়িয়ে আসছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম ওই ইটভাটিতে অভিযান চালায়। পরে ইট ভাটিটি ভেকু মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে চুল্লি মিস্ত্রি মোঃ বাদল খানকে আটক করে। ওই সময়ে চুল্লি মিস্ত্রিকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন তিনি। জরিমানা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় চুল্লি মিস্ত্রিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, বরগুনা জেলার এমএমএইচ ইটভাটিটি সম্পুর্ণ অবৈধ। তাই অভিযান পরিচালনা করে গুড়িয়ে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ওই ইটভাটির চুল্লি মিস্ত্রি মোঃ বাদল খাঁনকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।