যাত্রীসুবিধা বৃদ্ধির জন্য একাধিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে: রেলপথ মন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা একাধিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতদিন টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে অভিযোগ ছিল তা থেকে বের হওয়ার জন্য “টিকেট যার ভ্রমণ তার” কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি যা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রী আজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে “টিকেট যার ভ্রমণ তার ” শীর্ষক স্লোগান কে সামনে রেখে ও স্মার্ট রেলওয়ে গঠনের অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেটিং ব্যবস্থার চালু করা ও টিকেট চেকিং ব্যবস্থায় পস মেশিন হস্তান্তর উপলক্ষে এ কথা বলেন।
রেলপথ মন্ত্রী এ সময় বলেন, যাত্রীরা যাতে আরো বেশি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে এবং কোন প্রকার কালোবাজারি ছাড়াই নিজের টিকেট নিজে কাটতে পারে সেটি করার জন্যই আমরা টিকেটে জাতীয় পরিচয় পত্র সংযোজন করেছি।
তিনি বলেন, এটিই শেষ নয়, প্রয়োজনে আমরা আরো সংস্কার করবো যাত্রীসহ সকলের মতামত নিয়ে। তিনি উল্লেখ করেন, মূল বিষয় হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকেট ক্রয় করা যাবে না এবং কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না এখন শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে এর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে ,পর্যায়ক্রমে লোকাল ট্রেনেও এটি কার্যকর করা হবে। আমরা অনলাইনে ৫০ শতাংশ এবং কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি করে থাকি।
মন্ত্রী এ সময় আরো উল্লেখ করেন, এখন থেকে অন্যের টিকেটে ভ্রমণ করলে বিনা টিকেটের যাত্রী হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া টিটিইদের কাছে পস মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করবে এবং এ টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হবে। টিটিইদের বিরুদ্ধে এতদিন যে অভিযোগ ছিল টাকা সরকারি খাতে জমা না দেওয়ার সেটাও এর মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাবে।
মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, আজ আমরা একসাথে একশত পস মেশিন হস্তান্তর করছি এবং যারা এগুলো চালাবেন তাদেরকে ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া আরো একটি সুবিধা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে অনলাইনে টিকেট বাতিলের জন্য আর কাউন্টারে যেতে হবে না । আজ থেকে অনলাইনেই টিকেট বাতিল করা যাবে। মন্ত্রী জানান আমি কাউন্টার পরিদর্শন করে যাত্রীদের মধ্যে এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখেছি।
মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে আমরা যাত্রীদের জন্য আরো সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারবো। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এনআইডির তথ্য পাচারের কোন সুযোগ নেই কারণ আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করেছি। যতটুকু দরকার ততটুকু তথ্যই আমরা নেব এবং মূল সার্ভারের সঙ্গে তথ্যগুলো যুক্ত থাকবে। পরে মন্ত্রী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের সাথে এ বিষয়টা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।