ডিএসসিসি মেয়র ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর বঙ্গবাজারের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন

শেয়ার করুন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবাজারের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে ডিএসসিসি মেয়র ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে বৈঠক করেন এবং বৈঠক শেষে নগর ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করেন। দুর্যোগকালে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, উদ্ধার কার্যক্রম তদারকিসহ সামষ্টিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে এই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নগর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. কামরুল হাসান, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান অগ্নিকান্ডের ঘটনা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় মেয়র বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও বঙ্গবাজার মার্কেট সমিতি হাইকোর্টে রিট দায়ের করে এবং সেখানে নতুন ভবন নির্মাণে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই দুর্ঘটনা তদারকি করেছেন। এই অগ্নিকান্ডে ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া সন্ধ্যায় বঙ্গবাজারে সংগঠিত অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Similar Posts