পদ্মা সেতু পাড়ি : প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ বোনাস’ হিসেবে দেখছেন বাইকাররা
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন বাইকাররা। তারা বেজায় খুশী। ঘন্টায় হাজার খানেক বাইকার সেতু পার হচ্ছেন। টোলে ভিড় থাকলেও তা সামাল দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে এসেছেন নড়াইলের মো. সুমন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঈদের আগে পদ্মা সেতু পার হয়ে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাওয়াটা একটি ঈদ বোনাসের মতো মনে হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে বাড়ি যেতে পারব। এটা সবার জন্যই স্বস্তি।’
আরো এক বাইকার বলেন, ‘এত দিন পর আমাদের দুর্ভোগের ইতি মনে হয় শেষ হচ্ছে। বাড়ি ফেরার সময় বিভিন্নভাবে মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু দিয়ে পার করতাম, গুনতে হতো অধিক টাকা, সময় লাগত দ্বিগুণ। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা হচ্ছে কঠিন ব্যাপার।’
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘আজকে ভোর থেকেই হাজার হাজার মানুষ পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছেন। আমরা চাপ সামলাতে দুটি বুথ খুলেছি। ওই বুথে টোল দিয়ে নির্ধারিত লেন ধরে মোটরসাইকেল চলছে। আমাদের নির্দেশনা মেনে তারা সুশৃঙ্খলভাবে সেতু পারাপার হচ্ছেন।’
গত বছরের ২৬ জুন সকালে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সেতু ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল। যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর মাত্র এক দিন চলেছিল মোটরসাইকেল। প্রথম দিনেই ঘটে দুর্ঘটনা। তার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল পারাপার।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মোটরসাইকেলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। এতে সকাল থেকে ভিড় ছিল বাইকারদের। ঘণ্টায় হাজারের বেশি মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।