আমতলীতে ৪০ কেজির মণ মানছে না ব্যবসায়ীরা
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে মাইকিং করা হয়েছে। ৪০ কেজি হিসেবে মণ ধরে ক্রয়-বিক্রি চালু হচ্ছে। এতে কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করলেও ব্যবসায়ীরা মানছেন না। তারা বুধবার সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে ধান ক্রয় করছেন।
জানাগেছে, গত ২০ বছর ধরে আমতলী উপজেলার ধান ব্যবসায়ীরা ডিন্ডিকেট করে সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয় করতো। নিরুপায় হয়ে কৃষকরা ব্যবসয়ীদের ইচ্ছেমত সাড়ে ৪৬ কেজিতেই ধান বিক্রয় করতেন। এতে কৃষকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানান তারা। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকান্ডে উপজেলা প্রশাসন ছিল নির্বিকার। তারা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধান ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে সিন্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মতে বুধবার আমতলী পৌর শহরে মাইকিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করলেও ব্যবসায়ীরা তা কার্যকর করেনি। তারা বুধবার সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয় করেছেন।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাইকিং সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৪৬ কেজি মণ হিসেবে ধান ক্রয় করছেন।
ধান বিক্রেতা কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয় করছেন। নিরুপায় হয়ে আমি তাদের ইচ্ছায় ধান বিক্রি করেছি।
আমতলী উপজেলা ধান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনেছি। কিন্তু তারপরও সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান কিনেছি। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের শুধু আমতলী শহরে মাইকিং করলে হবে না।
উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করে বন্ধ করতে হবে। আমি ৪০ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয় করলাম কিন্তু গ্রামের ছোট ব্যবসায়ীরা ঠিকই সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয় করবো। তাতে কৃষকরা ঠিকই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবে মণ ধরে ধান ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে মাইকিং করা হয়েছে। সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা গ্রাম্য বাজারে মাইকিং করবেন। এরপরও যদি বন্ধ না হয়, তবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এ মাইকিং করার পর থেকে সাড়ে ৪৬ কেজি হিসেবের মণ বন্ধ হয়ে ৪০ কেজি হিসেবে মণ চালু হবে।