বিলাওয়াল -জয়শঙ্করের ‘কড়া মন্তব্য’ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

শেয়ার করুন

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, ভারতে সাংহাই সহযোগী সংস্থার (এসসিও) বৈঠক থেকে ফিরে, শুক্রবার বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে ‘দুই দেশের একে অপরের কথা বলা উচিত’।

তার ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘সন্ত্রাসবাদের মুখপাত্র এবং প্রচারক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে ‘পাকিস্তানের সাথে ‘আলোচনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি’।

গত কয়েক বছর ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ এবং ২০১৬ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তান থেকে কোন মন্ত্রী ভারতে গিয়েছিলেন।

প্রত্যাশা ছিল, বিলাওয়াল ভুট্টোর ভারত সফরের পর দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে।

কিন্তু দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সামনে আসার পর এখন মনে হচ্ছে দুই‌ দেশের সম্পর্কের চলমান উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে।

এ নিয়ে পাকিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা শুমাইলা জাফরি বলেন, পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিলাওয়াল ভুট্টো অনেক চিন্তাভাবনা করে এসসিও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের বৈরিতা দ্রুত কাটবে বলে মনে হয় না।

ভারতীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শেখর আইয়ারও মনে করেন যে অন্তত আগামী দেড় বছরের জন্য ‘দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই’।

শুমাইলা জাফরি বলছেন, বিলাওয়াল ভুট্টোর ভারত সফর নিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে শুরুতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, তিনি দেশে ফেরার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে।

তিনি বলেছেন, বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এখন বলছে যে বিলাওয়াল ভুট্টোর ভারতে যাওয়া উচিত হয়নি। তবে, এই বিষয়ে দলের ভেতরে কোনও মতৈক্য ছিল না।

তবে অনেকে মনে করেছিলেন যে, “এসসিও পাকিস্তানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, তাই বিলাওয়ালের যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।”

কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিলাওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানে অনেক সমর্থন পাচ্ছেন।

বলা হচ্ছে, তিনি ভারতে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরেছেন এবং অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন।

শুমাইলা জাফরি বলেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে বিলাওয়াল ভুট্টো জাতিসংঘে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন, এরপর তাকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

তিনি বলেন, “প্রটোকল অনুযায়ী, দুই নেতার সেখানে করমর্দন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। বিলাওয়াল যখন কথা বলছিলেন, তখন পেছনে মিডিয়ার ভাষ্য চলতে থাকে।

ভারত থেকে ফিরে আসার পর বিলাওয়াল ভুট্টো সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “দুই দেশেরই দায়িত্ব আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হয় না অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের কোন উন্নতি হবে।”

‘ভারত সরকার এখন কথা বলতে চায় না’

ভারতীয় সাংবাদিক শেখর আইয়ার বলেছেন, “প্রথম কথা হল যে, কাশ্মীর উপত্যকা অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা কমেনি এবং ভারত দাবি করে আসছে যে এই ধরনের ঘটনা হ্রাস পেলেই আলোচনা সম্ভব হবে।”

“দ্বিতীয় বিষয় হল, পাকিস্তান বলছে যে ভারত সরকারের উচিত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। ভারত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে বলেছে যে এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে আলোচনার সুযোগ খুব কমই আছে বলে মনে হচ্ছে।”

দুই হাজার উনিশ সালের অগাস্টে ভারত সরকার ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়, ওই ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। এখন সেখানে শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেছেন, “ভারত সরকার এ বছরের শেষ নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করতে পারে এবং তারা দেখাতে চায় যে সেখানে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

মি. আইয়ার বলেছেন, “আপনি যদি বিজেপি সরকারের কথা বাদও দেন, আর্টিকেল-৩৭০ এমন একটি ইস্যু যে বিরোধীরাও এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বদলাতে চাইবে না। যেমন কংগ্রেসও এটা পুরোপুরি রদ করতে চাইবে না।”

মি. আইয়ার বলেছেন যে, দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন এমন যে কেউই কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না বা জড়াতে চায় না।

তিনি বলছেন, ভারতে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। কর্ণাটকে মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে, এরপর তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, ছত্তিসগড় এবং মধ্যপ্রদেশে হবে। এরপর আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

অন্যদিকে, পাকিস্তান এখন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। সামনে রাজনৈতিক সংকটও রয়েছে। সবমিলিয়ে সংগ্রাম করছে দেশটি।

এরপর পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের অগাস্টে।

“ভারতের অবস্থান স্পষ্ট যে পাকিস্তান এসসিওর সদস্য দেশ এবং দেশটির এতে অংশ নেয়া উচিত, তবে তারা এটাও পরিষ্কার করেছে যে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা না কমানো পর্যন্ত কোন আলোচনা হতে পারে না।”

নওয়াজ শরীফ, অটোল বিহারী বাজপেই।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস পরিষেবা শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি। পরে ২০১৯ সালের অগাস্টে পাকিস্তান এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারত ২০০৪ সালের ইসলামাবাদ ঘোষণার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, ওই ঘোষণায় দুই পক্ষ তাদের ভূখণ্ড সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজেপি সরকারের আমলে দুই দেশের মধ্যে বাস সার্ভিসও চালু হয় এবং তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে যান।

এমন পরিস্থিতিতে, বিজেপি সরকার সবসময় বলতে পারবে যে তারা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখর আইয়ার বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা যায়, পাকিস্তানের সাথে ভারতের বিজেপি সরকারের এখন কোন বিষয়ে আলোচনায় বসা রীতিমতো অসম্ভব, অন্তত আগামী দেড় বছর এটি কোন রূপ নেবে বলে মনে হচ্ছে না। “

দুই হাজার ষোল সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী এ বছর ভারত সফর করেছেন।

এর আগে, নওয়াজ শরিফ, যিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন,২০১৪ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি ভারতে এসেছিলেন।

তার সফরের পর, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে, মোদী তার সাথে দেখা করতে হঠাৎ লাহোরে যান।

এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।

দুই হাজার ষোল সালের অগাস্টে, জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা হয়।

ওই বছর সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’তে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়।

দুই হাজার আঠারো সালের সেপ্টেম্বরে, ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন, মি. মোদী তার সাথে কথা বলেন এবং তাকে অভিনন্দন জানান।

দুই দেশের বৈঠক হওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা চলছিল, কিন্তু এর মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ঘটনা বেড়ে যায়।

দুই হাজার উনিশ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পুলওয়ামায় একটি সেনা কনভয়ে হামলা হয়। এরপর পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত।

দুই হাজার উনিশ সালের অগাস্টে, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং জাতিসংঘেও এ সংক্রান্ত বিবৃতি দেয়।

এরপর, জি২০ দেশগুলো চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতের শ্রীনগরে বৈঠক করার ঘোষণা দেয়, তাতে পাকিস্তান আপত্তি জানায়।

কী বললেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

ভারতের গোয়ায় চলতি মাসের ৪-৫ই মে অনুষ্ঠিত এসসিওভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে ফিরে শুক্রবার বিলাওয়াল ভুট্টো সংবাদ সম্মেলন করেন।

সেখানে তিনি বলেছেন যে, ভারতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং জনগণকে বলেছেন যে ‘সব মুসলমান সন্ত্রাসী নয়’।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর সামনে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরা। সেই অর্থে, সফরটি সফল হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

“আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো সেভাবে উত্থাপন করতে পারি না, কারণ আমাদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আছে। কিন্তু কূটনৈতিক পরিধির মধ্যে থেকে আমরা তা করতে পারি। আমরা বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছি,” বলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এটিকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন। এটি এসসিও’র উদ্দেশ্য এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন।”

চীন-পাকিস্তানের ক্ষোভ উপেক্ষা করে শ্রীনগরে জি-২০ দেশগুলোর বৈঠক ডেকেছে ভারত।

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “আমি মনে করি সংলাপ হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা ভারতের দায়িত্ব, অন্যথায় উভয় দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে।”

এক্ষেত্রে ভারতের বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের ভাষ্য পাকিস্তান নিজেদের সন্ত্রাসের শিকার বলছে কিন্তু যারা সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে পাকিস্তান তাদের সঙ্গে বসছে। আপনারা বলুন আমি কি ভুল করেও কোনও সন্ত্রাসীর সঙ্গে বসেছি?”

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “কিন্তু বৈরিতা এতটাই বেড়ে গেছে যে তারা প্রত্যেক মুসলমানকে সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখে। যতদিন আমরা সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে রাজনীতি করতে থাকব, ততদিন আমরা এর শিকার হতে থাকব, ততদিন আমরা বিভক্ত হতে থাকব।”

দুই দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলে বলেন তিনি।

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “ভারতে বিজেপি এবং আরএসএসের প্রচেষ্টা ছিল সারা বিশ্বের মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসাবে তুলে ধরা, তারা ভারতে থাকুক বা পাকিস্তানে। এ নিয়ে এক ধরণের প্রচারণা চালানো হচ্ছে, আমরা সেই মিথটি ভেস্তে দিয়েছি। ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “পাকিস্তানের প্রাদেশিক ও জাতীয় পর্যায়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির টিকিটে হিন্দু পাকিস্তানি প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়লাভ করে নেতা, মন্ত্রী হন।

“কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে ভারতে এক বিশাল মুসলমান জনগোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু তাদের লোকসভা বা রাজ্যসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম মন্ত্রী নেই,” উল্লেখ করেন তিনি।

কী বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

বিলাওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানে ফেরার কিছুক্ষণ আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বিলাওয়াল ভুট্টোকে ‘সন্ত্রাসবাদের মুখপাত্র’ হিসেবে আখ্যা দেন।

মি. জয়শঙ্কর অভিযোগ করেন, তিনি (বিলাওয়াল ভুট্টো) সন্ত্রাসবাদের প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং একে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

কাশ্মীরের কথা উল্লেখ করে মি. জয়শঙ্কর বলেন, “৩৭০ অনুচ্ছেদ এখন ইতিহাস হয়ে গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি মানুষ এটা বুঝবে, ততই মঙ্গল।”

এসসিও সভা শেষ হওয়ার পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এস জয়শঙ্কর বলেন, পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন তার উত্তর দেওয়া হয়েছে৷

“তথাকথিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সম্পর্কে, বৈঠকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ স্থাপন একটি ভালো উদ্যোগ।

কিন্তু এতে কারো সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হওয়া উচিত নয়। এটি ভারতের অবস্থান এবং এ নিয়ে কারও সন্দেহ করা উচিত নয়।”

মি. জয়শঙ্কর বলেছেন, “জি-২০ দেশগুলির বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের সাথে আলোচনার তেমন কিছু নেই, অন্তত এ বিষয়ে এমন কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে না যারা এই জোটের অংশ নয়৷

জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদা ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে৷ এর সভা ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে, এটাই স্বাভাবিক।”

পাকিস্তানের সাথে আলোচনার বিষয়ে মি. জয়শঙ্কর বলেন, “আপনি নিজেকে সন্ত্রাসের শিকার বলছেন, আবার যারা সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গেও বসবেন, এটা হতে পারে না। সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তিরা এর মোকাবিলা করে এবং আত্মরক্ষা করে। এ ধরণের কথা বলে তারা ভণ্ডামি করছে এবং দেখাতে চাইছে যে আমরা একই নৌকায় আছি।”

এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটা স্পষ্ট যে সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। তিনি এসসিওর সদস্য হিসাবে এখানে এসেছেন, এর বেশি কিছু নয়।” বিবিসি বাংলা।


শেয়ার করুন

Similar Posts