যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কিচ্ছু কিনবো না: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

যে দেশ স্যাংশন দিবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী মো. নজরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন (শিবলু)।

অনুষ্ঠানে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মো. আব্দুল হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনারারি সেক্রেটারি প্রকৌশলী কাজী খাইরুল বাশার অনুষ্টানে যোগদানকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ওপর গানসহ একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপ-কেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ ও এএমআরই বিভাগের স্নাতকদের হাতে পুরস্কার (স্বর্ণপদক) ও সনদপত্র তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার স্যাংশন দেয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি, তাদের ওপর স্যাংশন। আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন দেবে—তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না।

তিনি বলেন, স্যাংশন দিয়ে কার কী লাভ হয় জানি না। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। আমাদের কিছু পদক্ষেপের ফলে মানুষের ওই কষ্টটা হয়নি। আমি কয়েকটা দেশ ঘুরে এলাম, লন্ডনে ৩টার বেশি টমেটো কিনতে দেবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে দেবে না, এক প্যাকেট ডিম, খুব বেশি হলে ৬টা, তার বেশি কেউ কিনতে পারবে না। বাংলাদেশে সেই দুরবস্থা কিন্তু আসেনি।

প্রকৌশলীদের দেশের উন্নয়নের মূল শক্তি হিসেবে অভিহিত করে চলমান উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের (প্রকৌশলী) কাছে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা (প্রকৌশলী) দেশের উন্নয়নের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সবাই আন্তরিক থাকবেন, যাতে আমরা উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সরকার ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়ন করবে, যাতে দেশের কেউ আর ভোগান্তির শিকার না হয়। এতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি সম্মানজনক ও উন্নত জীবন পাবে। আশা করি, আপনারা (প্রকৌশলীরা) বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করবেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts