বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইটে গেলেন ৪১৫ জন হজযাত্রী
বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট আজ থেকে শৃুরু হয়েছে। রোববার ভোর ৩টা ২০ মিনিটে বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি (বিজি-৩০০১) ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭.২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছাবে। এছাড়াও, বিমানের আরো ৪টি ফ্লাইট আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবে।
হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাস্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী সম্মানিত হজযাত্রীগণের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ,শান্তি,সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া কামনা করেন।
এর আগে হজ ফ্লাইট এর উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন,
প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বছরও হজ যাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের ৪ টি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং ১ টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার সহ মোট ৫ টি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারনেই ২০১৯ সাল থেকে “রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ” এর আওতায় হজযাত্রীগণের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাঁদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এতে সম্মানিত হজ যাত্রীগণের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজ যাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজ যাত্রীগণ পান সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল হতে হজের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোন হজযাত্রীকেই এরপর থেকে এয়ারলাইন্সের টিকেট নিয়ে কোন প্রকার হয়রানীর সম্মুখীন হতে হয়নি। ইনশাল্লাহ এবারও তারা টিকিট নিয়ে কোন প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহনের সকল বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত হজযাত্রীগণ ও সকল অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১,২২,২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১,১১১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। বাকী হজযাত্রী পরিবহণ করবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস। বিমান প্রি-হজে ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি ও পোস্ট-হজে ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮ টি করে মোট ৩৩০ টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বিমান গত বছরের মত এবারও ঢাকা থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও জেদ্দায় ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত শুক্রবার ( ১৯ মে) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।