জুলিও কুরি শান্তি পদক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধুর মর্যাদা এনে দিয়েছিল : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
জুলিও কুরি শান্তি পদক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধুর মর্যাদা এনে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এই আলোচনার আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এই পদক লাভে বাঙালি জাতি যেমন গর্বিত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাসীও বঙ্গবন্ধুর মত ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত হয়েছে।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় জুলিও কুরি পুরস্কার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। কারা এই পুরস্কার পেয়েছেন, সেটা দেখলেই এটা বোঝা যায়। ফিদেল কাস্ত্রো, পাবলো নেরুদা, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো নেতারা এই পুরস্কার পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর এত বড় সম্মান বা স্বীকৃতি আমরা ভুলতে বসেছি। নতুন প্রজন্ম জানেও না জুলিও কুরি পদক কী। গবেষক, লেখকদের দায়িত্ব এই পদকের তাৎপর্য মানুষের সামনে নিয়ে আসা।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিলো বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। কেননা, তিনি ছিলেন বিশ্ব শান্তির বার্তাবাহক। মানবতার মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
এছাড়া বক্তরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তিতে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশ, অঞ্চল এবং বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন, তেমন একটি শান্তির জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সবাইকে কাজ করতে হবে।
শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’, যা আজকের দিনেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এখনো দেশের ভেতর একটি মহল সর্বদা অশান্তি সৃষ্টি করার ক্লান্তিহীনভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠেকিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাঁকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘বিশ্বশান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংষ্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ুয়া, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম আখতার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক অহিদুজ্জামান চাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার ও জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্যি সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও-কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তিতে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। আলোচনায় বক্তারা বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশ, অঞ্চল এবং বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন, তেমন একটি শান্তির জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সবাইকে কাজ করতে হবে।
শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’, যা আজকের দিনেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এখনো দেশের ভেতর একটি মহল সর্বদা অশান্তি সৃষ্টি করার ক্লান্তিহীনভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠেকিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাঁকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।