ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রতিবাদ করতে হবে: চুন্নু
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলছেন, জাতীয় পার্টি কাউকে লিখিত দিয়ে রাজনীতি করে না। আমরা কারো এজেন্ট নই, কারো পক্ষ করা আমাদের রাজনীতি নয়। আমরা আমাদের রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমার তিনশো আসনেই নির্বাচন করার সাহস রাখি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। সকল ভোটার যেনো নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসতে পারে এমন পরিবেশ তৈরী করতে হবে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে হবে। অবস্থান কর্মসূচি নয়, মারামারি নয়- ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রতিবাদ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ মোটেই ভালো ছিলো না। সিটি নির্বাচনে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। যদি ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও এই অবস্থাই চলে তাহলে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর এর নেতা-কর্মীদের সাথে ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অবঃ) সিকদার মোঃ আনিসুর রহমান এর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঢাকা-১৭ আসন জাতীয় পার্টির। এই আসনে আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচিত ছিলেন। এই আসনে বিজয়ী হতে আমাদের পক্ষে অনেক ইতিবাচক দিক আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে। সিলেট সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত ছিলো। আওয়ামী লীগ সারাদেশ থেকে গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ও বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অবস্থা যেনো এমন, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ভোট দিতে গেলে সুরক্ষিত থাকবে আর এর বাইরে যারা তাদের সমস্যা হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে না গেলে তাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায় না। আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সুষ্ঠু পরিবেশ সম্ভব নয়। বরিশাল সিটি নির্বাচনে লাঙ্গলের অনেক সমর্থককে আটক করে ৮ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শাসক দলের কারো নামে মামলা থাকলে আটক করা হয় না কিন্তু অন্য দলের কারো নামে মামলা থাকলে তাদের নির্বাচনের আগে আটক করা হয়।
এসময় ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অবঃ) সিকদার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংসদ সদস্য ছিলেন। এই এলাকার উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের সুখের জন্য পল্লীবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিলো। আমরা পল্লীবন্ধুর অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত একটি সুখি-সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, সত্য, ন্যায় ও উন্নয়নের প্রতীক লাঙ্গল। সবাইকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে আহবান জানান মেজর (অবঃ) সিকদার মোঃ আনিসুর রহমান।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুল সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো: সামছুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, কেন্দ্রীয় সদস্য রাকিন আহমেদ ও ঢাকা ১৭-আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, মো: খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো: জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাজী নাসির উদ্দিন সরকার, হুমায়ুন খান, মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম সরদার, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, মো: আলমগীর হোসেন, মনির আহমেদ, সাজ্জাদ চৌধুরী পারভেজ, আব্দুল বারেক, আব্দুল আজিজ, এসএম হাশেম, বজলুর রহমান সিকদার, আবুল বাশার, শওকত হোসেন দুলাল, মো: কাইয়ুম মুন্সি, মোজাহিদুল হক খান নিপু।