সাগর-রুনি হত্যা মামলা প্রতিবেদনের সময় ৯৯ বার পেছাল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ৯৯ বারের মতো পিছিয়ে গেছে।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু এদিনও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাব।
তদন্ত প্রতিবেদন না পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে আবার দিন ঠিক করেছেন। আগামী ৭ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
সাড়ে ১১ বছর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি দম্পতি। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর রুনি কাজ করতেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে।
বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আটজনকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের রোমান।
আসামিদের তালিকায় রয়েছেন রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
বিভিন্ন সময়ে মোট আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, পরে দুজন জামিন পান।
আলোচিত হত্যাকাণ্ডটি তদন্ত করতে প্রথমে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশকে। কয়েকদিন পরে তদন্তের ভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
হত্যা রহস্যের কিনারা করতে পুলিশ ব্যর্থ হওয়ায় ঘটনার দুই মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব যায় র্যাবের কাছে।