বিশ্বের অনেক সংস্থা বাংলাদেশের মেরিন সেক্টরে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে : খালিদ মাহমুদ

শেয়ার করুন

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের অনেক সংস্থা বাংলাদেশের মেরিন সেক্টরে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। কারণ সরকার মেরিন সেক্টরের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।

আজ সোমবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় হোটেল কনরেডে ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং সামিট’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় সে দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী জেইমি জে বাউতিস্তা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ২০২৪-২০২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)র সেক্রেটারি জেনারেল পদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। এই পদে নির্বাচনের জন্য ফিলিপাইনের সমর্থন কামনা করেন তিনি। ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং সামিটে’ আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রতিমন্ত্রী ফিলিপাইনের যোগাযোগ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)র সেক্রেটারি জেনারেল পদে নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থনের বিষয়টি ফিলিপাইন সরকার বিবেচনা করবে বলে সে দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন। একই সাথে বাংলাদেশের মেরিন সেক্টরের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবসময় সহযোগিতা করবে বলেও ফিলিপাইনের মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

বৈঠকের শুরুতেই নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মেরিটাইম সেক্টরে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার খাতসমূহ আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ফিলিপাইনেরর সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছরের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন অন্যতম। এজন্য ফিলিপাইনের সরকার ও জনগণের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তীতে ফিলিপাইনে সংক্ষিপ্ত সফর করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ মেরিনার ও সিফেয়ারার তৈরিতে নতুন চারটি মেরিন একাডেমি ও একটি ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। মেরিনারদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ফিলিপাইনের যোগাযোগ সচিব এলমার ফ্রান্সিসকো ইউ সারমিয়েনতো, ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহানউদ্দিন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, আইএমও’তে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর স্পেশাল এনভয় ক্যাপ্টেন মঈন উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম এমপ্লয়ার্স কাউন্সিল এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এই সামিটের যৌথ উদ্যোগে এবার ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং সামিট’ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শেপিং দ্য ফিউচার অব শিপিং-সিফেয়ারার ২০৫০’।

ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এই সামিটের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সময় ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত এবং মেরিন সেক্টরের বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts