হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬৯ রান
ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। হৃদয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। দু’দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচটির দৈর্ঘ্য ৪৩ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের টার্গেট ৪৩ ওভারে ১৬৪ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। লিটন দাসকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সবুজ উইকেটে সাবধানী শুরু করেন তামিম ও লিটন। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১টি বাউন্ডারি মারেন তারা। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ২টি চারে ২১ বলে ১৩ রান করা তামিম আউট হলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাশে। । গত বছরের সিরিজেও ফারুকিকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তামিমকে।
দলীয় ৩০ রানে তামিম ফেরার পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ১০ রানে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে জীবন পান শান্ত। ১১তম ওভারে লিটনের ১টি করে চার-ছক্কায় বাংলাদেশের রান ৫০ স্পর্শ করে।
পরের ওভারে মুজিবের শর্ট বলে টাইমিং গড়বড় হলে স্কয়ার লেগে রহমত শাহকে ক্যাচ দেন লিটন। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ বলে ২৬ রান করেন তিনি। শান্তর সাথে জুটিতে ২৯ বলে ৩৫ রান করেন লিটন।
লিটন ফেরার পরের ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইনফর্ম শান্ত। স্পিনার মোহাম্মদ নবির করা প্রথম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন ১২ রান করা শান্ত। এতে ৭২ রানে ৩ উইকেটে পরিনত হয় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান ও হৃদয় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ১৬তম ওভারে বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা।
৪৫ মিনিট পর খেলা শুরু হলে সাবধানে খেলতে থাকেন সাকিব-হৃদয়। খেলার শুরুর পর ৪৬ ডেলিভারিতে বলকে সীমানা ছাড়া করতে পারেননি তারা। তবে এসময় বাংলাদেশের রান তিন অংকে পৌঁছায়। এসময় ব্যক্তিগত ১৬ রানে মুজিবের বলে উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে জীবনও পান হৃদয়।
২৩তম ওভারের শেষ বলে পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইর বলে শর্ট কাভারে নবির দারুন ক্যাচে আউট হন সাকিব। বাউন্ডারিহীন ৩৫ বলের ইনিংসে ১৪ রান করেন সাকিব।
সাকিব ফেরার পর বাংলাদেশের মিডল-অর্ডারে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার রশিদ খান। গুগলিতে মুশফিকুর রহিমকে(১) বোল্ড করেন রশিদ। এরপর দলে ফেরা আফিফ হোসেনকে রিভিউ নিয়ে লেগ বিফোর আউট করেন রশিদ। ৪ রান করেন তিনি।
রশিদের জোড়া আঘাতের পর উইকেট শিকারে মাতেন ফারুকি। গত বছর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফিফকে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুন জয় এনে দেয়া মেহেদি হাসান মিরাজকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলে দ্রুত বিদায় দেন ফারুকি। রিভিউ নিয়েও উইকেটে টিকতে পারেননি ২৩ বলে ৫ রান করা মিরাজ। ৩৩ ওভারে ১৩৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৩৫তম ওভারে বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় বন্ধ হয় খেলা। ১ ঘন্টা ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচটি ৪৩ ওভারে নির্ধারিত হয়। পরবর্তীতে খেলা শুরু হলে ৩৭তম ওভারে দেড়শ রান পায় বাংলাদেশ। ৩৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদকে ৭ রানে লেগ বিফোর আউট করেন মুজিব।
৪১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ফারুকির বলে আউট হন হৃদয়। ৬৯ বল খেলে ৩টি বাউন্ডারিতে ৫১ রান করে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ ৮ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের ফারুকি ৩টি, মুজিব-রশিদ ২টি করে উইকেট নেন।