ফুকুশিমার জল সাগরে ফেলার অনুমতি

শেয়ার করুন

মঙ্গলবার রিপোর্টটি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিন এতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছে, আইএইএ রিপোর্ট সাগরে জল ফেলার ‘ছাড়পত্র’ হতে পারে না।

ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।

সুনামি-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় জল জাপান যতখানি পরিস্রুত করতে পেরেছে, তার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু নজরদারি সংস্থা, আইএইএ। ওই জল এখন সাগরে ফেলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিন এতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছে, আইএইএ রিপোর্ট সাগরে জল ফেলার ‘ছাড়পত্র’ হতে পারে না। ২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে বিধ্বস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তার পরে সেখানকার সিল করা যে ধাতব টিউবে জ্বালানি ইউরেনিয়াম থাকে, সেই টিউব বা রডগুলিকে ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল জল। প্রায় ৫০০টি অলিম্পিক মাপের সাঁতার পুলে যত জল ধরে, প্রায় ততখানি জল। সেই জলই ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে খেপে খেপে সাগরে ফেলতে চায় জাপান। তার আগে জল পরিস্রুত করে যথাসম্ভব তেজস্ক্রিয়তামুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি।

আইএইএ-র রিপোর্ট বলছে, তারা পরীক্ষা করে দেখেছে, এখন যতটুকু তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে ওই জলে, তা পরিবেশের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, জল ছাড়ার সময় ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আইএইএ-র প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। তবে কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।

জাপানের নাগরিকদের একাংশ, বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায় অবশ্য এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছেন প্রথম থেকেই। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে চিনও। জাপানে চিনের রাষ্ট্রদূত উ জিয়াংগাও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আইএইএ রিপোর্ট কিছুতেই সাগরে জল ফেলার ছাড়পত্র হতে পারে না। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে থেকেই জাপান পুরো পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে।’’


শেয়ার করুন

Similar Posts