মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

শেয়ার করুন

বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে. বরিশাল ক্লাব লিমিটেডে অবৈধভাবে সভাপতি পদ দখল করে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিসাধন এবং ক্লাব পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অপর বিবাদী হলেন বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সেক্রেটারী।

বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। যার দেওয়ানী মামলা নং (৩৬৮/২০২৩)। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দেন। আদালতের বেঞ্চ-সহকারী মোঃ বায়েজিদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, বাদী বরিশাল ক্লাবের ৪৬২ নম্বর সদস্য। তাই মামলা দায়ের ও ন্যয় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ১নং বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সদস্য হন। তার সদস্য নং ৬৭৬।

বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি হওয়ার জন্য সদস্য পদে ১০ বছর থাকতে হবে। সেই হিসেবে সাদিক আব্দুল্লাহ ২০২৬ সালে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু ১নং বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ২০১৯ সালের ৮ মার্চ গঠনতন্ত্রের ৩২ (খ) ধারা লঙ্ঘন করে বেআইনী ও অবৈধভাবে সভাপতির পদ দখল করেন।

আইনজীবী আজাদ রহমান আরও বলেন, ১নং বিবাদী বেআইনীভাবে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্লাবের ২টি রুমে থাকার ব্যবস্থা করেন।

এছাড়া ক্যাফেটরিয়ায় খাবার খেয়ে বিল পরিশোধ করেন নি। ফলে তার কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যার দায়ভার বাদীসহ ক্লাবের সদস্যদের বহন করতে হচ্ছে।

আইনজীবী বলেন, প্রতি দুই বছর পর পর ক্লাবের স্থায়ী/আজীবন সদস্যদের ভোটে সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দরা নির্বাচিত হন। ১নং বিবাদী ২০১৯ সালের পর থেকে কোন ধরণের নির্বাচন দেননি। বাদী গত ৭ জুলাই ১নং বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

কিন্তু ১নং বিবাদী সভাপতির পদ ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয়ায় ক্লাবের স্বার্থে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে বরিশাল ক্লাব লিমিটেডের সেক্রেটারী পরানকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts