বুড়িগঙ্গায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটারবাস ডুবি : নিহত ১, নিখোঁজ ৩৫
ঢাকার সদরঘাটের লালকুঠিঘাট এলাকা বরাবর বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। চারজন জীবিত, দুইজন অচেতন ও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী সাতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছেন সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রীরা। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রী আবুল হোসেন জানান, ওয়াটার বাসটি সামপুর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওটারবাসটি মাঝ নদীতে গেলে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম সেতুর দিক থেকে আসা এমভি আরাবি নামে একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড ওটারবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে ওয়াটারবাসটি ডুবে যায়। ওয়াটার বাসের উপরে থাকা যাত্রীরা কেউ-কেউ সাঁতরে তীরে উঠে আবার আশপাশের নৌকার মাঝিরা অনেককে তীরে উঠতে সাহায্য করে। ওয়াটার বাসের নীচে যাত্রীরা এবং যারা সাতার না জানে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ওয়াটার বাসটির যাত্রী আলী হোসেন বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার জন্য লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে উঠি। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে ওয়াটার বাসের ছাদে বসেছিলাম। আমার জানামতে, ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। বাল্কহেডের ধাক্কায় আমিসহ কয়েকজন সাঁতরাতে থাকি। আশপাশের নৌকার মাঝিরা এসে উদ্ধার করেন। নিচের যাত্রীদের বেশির ভাগই ডুবে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সদরের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। নিখৌঁজদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন জীবিত, দুইজন অচেতন ও একজন মৃত। সবাইকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জনের মত যাত্রীছিল। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের ভাষ্য মতে ৩০ থেকে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাত ৯টায় খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।’