আজ রাজধানীতে দুই দলের সমাবেশ,টান টান উত্তেজনা
অবশেষ রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ হচ্ছে আজ শুক্রবার। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজপথে দল দুইটি মুখোমুখি হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে।
যে কোনো মূল্যে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় দুদল। সে লক্ষ্যে একদিন পিছিয়ে আজ নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। তাদের মোকাবিলায় পালটা সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দলের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।
এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দল দুটি। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। বিএনপির সমমনা ৩৬টি দল ছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এবি পার্টি আজ রাজপথে থাকবে। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্তত ৪০টি দল একই দিন রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করবে। রাজপথে বড় দুই দলের শক্তির লড়াই আজ।
বড় দুই দলের অনড় অবস্থান এবং আজ ঢাকার রাজপথ দখলে বিশাল শোডাউনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশিদের নজরও থাকবে ঢাকার দিকে। পালটাপালটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিশেষ করে রাজধানীবাসীর মধ্যে দেখা গেছে চরম উৎকণ্ঠা। আজ কী হবে বা কী হতে যাচ্ছে-এমন আলোচনাই সর্বত্র। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমন পরিস্থিতিকে রাজনীতিতে ঝড়ের পূর্বাভাস বলে মনে করছেন।
তাদের মতে, গণতান্ত্রিকভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু একই দিন পালটা কর্মসূচি সংঘাতকে উসকে দিতে পারে। যে কোনো মুহূর্তে এসব কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে সরে আসতে হবে। দেশের কথা চিন্তা করে বসতে হবে আলোচনায়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা, অনশন করে তারা এটাকে গণ-আন্দোলনে রূপ দিতে চায়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায় করা সহজ নয়। তারা রাজপথে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আহ্বান জানালে কিংবা হুঁশিয়ারি দিলেই সরকার পদত্যাগ করে ফেলবে, সেটা ভাবার কারণ নেই। তাই গণ-আন্দোলনও শেষ পর্যন্ত সহিংস রূপ নিতে পারে।
অন্যদিকে বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় ক্ষমতাসীনরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। ইতোমধ্যে সেই প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলটি। দাবি আদায়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে টানা অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ নীরবে তা মেনে নেবে না। প্রশাসনের সহায়তায় যে কোনো মূল্যে তাদের সরিয়ে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে চাইবে।
মুখে কথা কিংবা হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানো যাবে না। সরাতে গেলেই বেধে যেতে পারে সংঘর্ষ। দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একবার সংঘর্ষ শুরু হলে মুহূর্তে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।