আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাল সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দলের সব সহযোগী সংগঠনও একই কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ করা হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় এ কথা বলেন।
দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে এই জরুরি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের পুনরাবৃত্তি শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপ থাকতে পারে না। বিএনপির বলে- তাদেরকে বাধা দেয়া হচ্ছে, ঢাকা শহরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেবে। এটা কি তারেক রহমানের বাপের সম্পত্তি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) যেটা আশঙ্কা করেছি সেটাই হয়েছে। শুক্রবার এটাই করতে চেয়েছিল বিএনপি। তাদের (বিএনপি) আন্দোলন এক দফা অগ্নিসন্ত্রাস। কিন্তু আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানের কারণে এই নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করতে পারেনি।
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা মাতুয়াইলে চারটি পরিবহনে আগুন দিয়েছে। ইশা পরিবহন, স্বদেশ পরিবহন পুড়িয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভ্যানেও হামলা করেছে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে হামলা করেছে। ওয়েলকাম পরিবহনে শুধু হামলায় করেনি, অগ্নিসংযোগ করেছে। সদরঘাটেও ভিক্টর পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীতে তারা মোট সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওসি গোলাম মোস্তফাকে মারধর করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ কর্মী মুহিবুর রহমান নয়নের ওপর হামলা করে কবজি কেটে নিয়েছে।
বিএনপি আইন মানে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদালতের আদেশে দুর্বৃত্ত তারেক জিয়া লঙ্ঘন করেছে। তার বক্তব্য, স্টেটমেন্ট প্রচার করা যাবে না। আদালত অবমাননা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। গতকাল এমনও বলেছে, একটা লাশ ফেলতে, দশটা লাশ ফেলতে। লাশ ছাড়া, টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। সে বলে লাশ ফেললে টাকার অভাব হবে না। লন্ডনে কি করে সে? এতো টাকা কোথায় পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে অর্থনৈতিক সংকট অথচ তার টাকার অভাব নেই। তার বাবা জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনীতিতে টাকা কোনো সমস্যা না। আর বাবার মতো সেও বলে আন্দোলনে টাকা সমস্যা না। সে কি আইনের ঊর্ধ্বে? ফখরুল, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরের কথা শুনলে মনে হয় আইন মানে না, আইন স্বীকার করে না।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জক, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, মারুফা আক্তার পপি, তারানা হালিম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি এবং যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভায় উপস্থিত ছিলেন।