কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়র জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন বলেছেন, দেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১’র প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, তার দৌরঝাপ ভিয়েনা কনভেনশনের মধ্যে পড়ে না। তবে সরকারের তরফ থেকে লঙ্ঘনের কথা বলা হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সেহেলী সাবরীন বলেন, এ বিষয়ে গত ২৬ শে জুলাই মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার মিডিয়া ব্রিফিংয়ে খুব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন – কেন এবং কোন প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর কথা ১৩ জন রাষ্ট্রদূত কে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতদের নিজস্ব ইন্টারপ্রেটেশন থাকতে পারে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে জনকূটনীতি অনুবিভাগের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন এই অভিযোগ করেন। সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক।
বিএনপি ফের আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এটি বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করবে কিনা এর জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, যে কোন ধরণের সন্ত্রাস বা সহিংসতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই ধরণের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশী দূতাবাস সমূহকে অবহিত করা হয়।
চীনের দূতের নিরবে ঢাকা ঘুরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই থেকে ১ আগষ্ট চীনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত Mr.Deng Xijun ঢাকা সফর করেন। সফরকালে তিনি মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম পি এর সাথে সাক্ষাত এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে বাংলাদেশ চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক এবং বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও রাখাইন রাজ্যে টেকসই সহাবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি আরো বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের আওতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কাজ চলমান রয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সুবিধা জনক একটি উপযুক্ত ও নির্দিষ্ট কাল খুঁজে বের করার কাজ চলছে এবং যথাশীঘ্রই তা শুরু হবে।