নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আদালতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২০ সালের নির্বাচনকে উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এমন সময় তার বিরুদ্ধে আনীত মামলার রায় দেয়া হলো যখন তিনি ২০২৪ সালের হোয়াইট হাউসে যাওয়ার উপর একটি অন্ধকার এবং কালো মেঘ নেমে আসবে। কারণ, ইতোমধ্যে তিনি রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন।
প্রসিকিউটররা বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত মার্কিন ক্যাপিটলের দৃষ্টিতে ৬ জানুয়ারি, ২০২১-এ তার সমর্থকরা যে ঝড় তুলেছিল, একটি ফেডারেল আদালতে তার জন্য অভিযুক্তদের ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মক্সিলা উপাধ্যায়ের সামনে বিকেল ৪টায় (২০০০ এগঞ) শুরু হওয়া শুনানিতে দোষী না হওয়ার আবেদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প এবং ছয়জন অজ্ঞাত পরিচয়সহ ষড়যন্ত্রকারীরা ২০২০ সালের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছিলেন। এতে ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগ উন্মোচন করেছেন যাতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র এবং আমেরিকান ভোটারদের তার মিথ্যা দাবি দিয়ে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘চক্রান্তের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন জালিয়াতির জ্ঞাতসারে মিথ্যা দাবি ব্যবহার করে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধ ফলাফলকে উল্টে দেওয়া।’
হেগের প্রাক্তন যুদ্ধাপরাধের প্রসিকিউটর স্মিথ, ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে তার ক্ষতির পর ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সরাসরি ক্যাপিটলে আক্রমণের সাথে যুক্ত করেছেন। যাকে তিনি ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের আসনে অভূতপূর্ব আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
স্মিথ বলেছিলেন ‘এটি মিথ্যা দ্বারা ইন্ধন দেওয়া হয়েছিল।’ ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের একটি বেডরক ফাংশনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে আসামীর দ্বারা মিথ্যাচার, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ,গণনা এবং প্রমাণ করার প্রক্রিয়া।’
ট্রাম্প ইতোমধ্যেই আগামী বছরের মে মাসে ফ্লোরিডায় বিচারের জন্য যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগো এস্টেটে শীর্ষ গোপন সরকারি নথি নিয়েছিলেন এবং সেগুলো ফেরত দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
দু’বার অভিশংসিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও নিউইয়র্কে একজন পর্ন তারকাকে নির্বাচনের আগের দিন চুপচাপ থাকার জন্য নগদ অর্থ দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।