এবারের লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ না করলে রাজপথে ফয়সালা হবে । এবারের লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লড়াই।’
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। আগামী দুই দিনের মধ্যে সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি আসছে বলে জানান তিনি।
এবার নির্বাচন নিয়ে কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের লড়াই জীবনপণ লড়াই। এবারের আন্দোলনে সরকারের পতন করা হবে। মানে মানে সরে না গেলে রাজপথেই সরকার পতন ঘটানো হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগই একমাত্র দাবি বিএনপির।
তিনি বলেন, ১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করে পার পেতে চায় আওয়ামী লীগ। দেশের জনগণ কি সেটা হতে দেবে? শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা নতুন যুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই তোমাদের দিন শেষ। মানে মানে পদত্যাগ করো।’
বৃষ্টি উপলক্ষে করে এদিন ব্যানার, ফেস্টুন, মিছিল আর স্লোগানে প্রতিবাদ জানান বিএনপি কর্মীরা। সড়কজুড়ে ছিলো দলীয় কর্মীদের ভিড়ে।
বাড্ডা সুবাস্তু নজরভ্যালীর সামনে থেকে শুরু হয় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি একদফার গণমিছিল। মালিবাগে গিয়ে শেষ হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
নগরীর দক্ষিণেও গণমিছিল করেছে মহানগর বিএনপি। কমলাপুর থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত এ মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতা।
কমলাপুরে অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ থেকে দলটির শীর্ষ নেতারা বলেন, ক্ষমতাসীনরা একতরফা নির্বাচনের জন্য আবারও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, মামুন হাসান, আব্দুর রহিম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ প্রমুখ।