তুলতুলের সঙ্গে ‘আংশিক প্রেম’ ছিল চাষীর!
অনেক আগেই চরিত্রের আড়ালে ঢাকা পড়েছে তার আসল নাম। চাষী আলম থেকে তিনি এখন সবার প্রিয় ‘হাবু ভাই’। নাটকের মতো বাস্তবেও এতকাল ‘হাবু ভাই’ ছিলেন ব্যাচেলর। অবশেষে জীবনসঙ্গীর দেখা পেলেন তিনি।
স্ত্রী তুলতুলের সঙ্গে ‘হাবু ভাই’ খ্যাত চাষী আলম। ছবি: সংগৃহীত
গত বৃহস্পতিবার ( ২৪ আগস্ট) রাতে গায়ে হলুদের পরপরই কাবিন সম্পন্ন হয় অভিনেতা চাষী আলমের। শুক্রবার ( ২৫ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে হয়েছে বাকি অনুষ্ঠান। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও শোবিজ অঙ্গনের কিছু বন্ধুকে নিয়ে ছোট পরিসরেই সেরেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হাবু ভাই’-য়ের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন নেটিজেনরা। তার স্ত্রীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, চাষী আলমের স্ত্রীর নাম তুলতুল ইসলাম। ডাক নাম মোহনা। পরিবারের সঙ্গে থাকেন রাজধানীর বাড্ডায়। মা গৃহিণী, বাবা ব্যবসায়ী। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। গত বছর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।
দর্শকরা যখন অভিনেতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তখন ‘হাবু’ চরিত্রটির ধরনের কথাও উল্লেখ করছেন। পর্দার ‘হাবু’ কীভাবে রান্নার হাত পরীক্ষা করেন, মজা করে লিখছেন সে বিষয়টিও। অনেকে দু’পা এগিয়ে পরামর্শও দিচ্ছেন- এখন যেন তিনি রান্নার হাত দেখা বন্ধ করে সুখে শান্তিতে সংসার করেন।
‘হাবু’ চরিত্রের স্রষ্টা কাজল আরেফিন অমিও হেঁটেছেন একই পথে। চাষীর গায়ে হলুদের ছবি শেয়ার করে অমি লিখেন, আমাদের ‘হাবু ভাই’-য়ের বিয়ে। নতুন জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। এবার রান্নার হাত দেখা বন্ধ করে দাও, বউকে বলো তুমি দেখতে অনেক সুন্দর।
পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও তুলতুলের সঙ্গে চাষীর পরিচয় প্রায় ছয় মাস আগে। মেয়েটি তার অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন। পরিচয়ের কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়। মাঝেমধ্যে দেখাসাক্ষাৎও চলে। এক পর্যায়ে পরস্পরের প্রতি ভালো লাগা কাজ করে। পরবর্তীতে অভিনেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তুলতুলকে দেখে পছন্দ করেন। এরপরই শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়।
বিয়ের পর হানিমুনে ইউরোপে যাওয়ার কথা রয়েছে চাষী-তুলতুলের। তবে এখনই নয়। বেশ কয়েকটি নাটকের শিডিউল দেওয়া আছে অভিনেতার। সেগুলোর শুটিং শেষ করেই হানিমুনে উড়াল দিবেন নবদম্পতি।