কলাপাড়ায় যুবককে হাত-পা বেঁধে নৃশংশ ভাবে কুপিয়ে হত্যা, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাইদুর সরদার (৩৫) নামের এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নৃশংশ ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মধ্য টিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরন করেছে। মৃত সাইদুর মধ্য টিয়াখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাহজালাল বাদী হয়ে রবিবার সকালে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাতে অজ্ঞাতনামা খুনীরা সাইদুরের ঘরে ঢুকে সাইদুরের হাত-পা বেঁধে নৃশংশ ভাবে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে তার ঘরের দোতলার পাটাতনের উপর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত সাইদুরের মাথায় ও বুকের পাঁজরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অপরদিকে একই দিন রাতে উপজেলার লেমুপাড়া গ্রাম থেকে এক সন্তানের জননী
গৃহবধূ নার্গিস বেগম (২৩) এর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে পুলিশ। নিহত নার্গিস মো: আনোয়ার হোসেন এর কন্যা এবং রাজিব এর স্ত্রী। তার দেড় বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর গলায় কালো দাগ রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে এটি আত্মহত্যা না হত্যা কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: আলী আহম্মেদ জানান, উপজেলার মধ্য টিয়াখালীতে সাইদুর হত্যা কান্ডের সময় তার ২য় স্ত্রী খাদিজা বেগম উপস্থিত ছিল। তার হাত ভাঙ্গা থাকায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে বর্তি করা হয়েছে। সে সুস্থ্য হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সাইদুর হত্যা কান্ডের মোটিভ ও খুনীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
আলী আহম্মেদ আরও বলেন, গৃহবধূ নার্গিস বেগম এর মৃত্যুর কারন এখনও জানা যায়নি। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। এবং ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।