বাংলাদেশ কখনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ কখনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতেও এ রেকর্ড ধরে রাখার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে সুষম অর্থ-কাঠামো বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে সহজভাবে অর্থ প্রদানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বৈশ্বিক আর্থিক সংকট নিরসনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন সরকারপ্রধান।
এর আগে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্রাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুল’। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উদ্ভাবনকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বে এ ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে কমিউনিটি ক্লিনিক বেজড মেডিকেল সার্ভিসেস বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ কমিউনিটি ক্লিনিককে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ উদ্যোগকে ‘দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করি সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকার আসার পর তারা এটা বাতিল করতে চেয়েছিল। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর আইন করার উদ্যোগ নিই, যাতে কেউ এটা আর বাদ দিতে না পারে।
কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকলের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।