বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণ পুরোটাই শোধ করলো শ্রীলংকা
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ধার করা পুরো ঋণই পরিশোধ করেছে শ্রীলংকা। বৃহস্পতিবার রাতেই তারা পুরো ঋণের শেষ কিস্তি শোধ করেছে। একই সঙ্গে ঋণের সমুদয় সুদও পরিশোধ করেছে।
শ্রীলংকা তিন কিস্তিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ২০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল। তিন কিস্তিই তারা ঋণটি শোধ করেছে।
সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত হয়ে দেশটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেনি। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক দফায় ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বড় ধরনের ঘাটতিতে পড়ে। এ কারণে ২০২১ সালে শ্রীলংকা বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ডলার ঋণ চায়। দুই দেশের প্রধান মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার পর ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদনের মাধ্যমে ঋণ ছাড় করে। ঋণের প্রথম কিস্তি ৫ কোটি ডলার ছাড় করা হয় ২০২১ সালের আগস্টে। একই মাসের শেষ দিকে আরও ১০ কোটি ডলার ছাড় করা হয়। সেপ্টেম্বরে দেওয়া হয় আরও ৫ কোটি ডলার। তিন দফায় দেওয়া হয় ২০ কোটি ডলার।
শ্রীলংকা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঋণের কিস্তি যথা সময়ে পরিশোধ করতে পারছিল না। যে কারণে এর মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়।
শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়ানোর পর গত আগস্টে তারা প্রথম কিস্তি বাবদ ৫ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পরিশোধ করে আরও ১০ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার শোধ করেছে সর্বশেষ কিস্তি ৫ কোটি ডলার। এর মাধ্যমে মূল ঋণের ২০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার ঋণের সুদ বাবদ ৪৫ লাখ ডলারও পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ শ্রীলংকা মোট সুদসহ পরিশোধ করেছে ২০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এই প্রথম কোনো দেশকে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রায় ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয়। সোয়াপ উপকরণের আওতায় এ ঋণ নেওয়া হয়। এর সঙ্গে শ্রীলংকা লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট বা লাইবর এর সঙ্গে আরও ২ শতাংশ বাড়তি সুদ দেওয়ার চুক্তি ছিল। সেটি তারা পুরোটাই পরিশোধ করেছে।