কলাপাড়ায় ১০ বছর পর যুবলীগের সম্মেলন, উৎসবমুখর নেতা-কর্মীরা
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে পুরো শহর ছেয়ে গেছে রঙীন ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ডে। দীর্ঘ ১০ বছর পর যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে নেতা-কর্মীরা। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সম্পাদক মূল দলের
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ লাভের পর দীর্ঘদিনেও নতুন নেতৃত্ব আসেনি সংগঠনটিতে। এতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে সংগঠনটি। অবশেষে দীর্ঘবছর পর চলতি বছরের ২৮ জুলাই সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর সম্মেলনের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নির্ধারন করা হলেও পরে তা পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়।
সূত্র জানায়, গত ১০ বছরেও যুবলীগের উপজেলা কিংবা তৃনমূলের কমিটি না হওয়ায় অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলে কেন্দ্রের নির্দেশনায় সম্মেলন অনুষ্টিত হতে যাওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সভাপতি, সম্পাদক পদ লাভে জেলা থেকে কেন্দ্রে দৌঢ়ঝাঁপ শুরু করেছে পদ প্রত্যাশীরা। শহর ছেয়ে গেছে পদ প্রত্যাশীদের রঙীন ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ডে। কেউ কেউ ক্যাডার বেষ্টিত হয়ে শহরে শোডাউন দিতে শুরু করেছেন। পদ বাগিয়ে নিতে পেশী
শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে আলোচিত ও বিতর্কিতরাও। তবে তৃনমূলের দাবী দক্ষ, পরিশ্রমী, ত্যাগী নেতা-কর্মীকে পদ দেয়া হোক।
সূত্রটি আরও জানায়, যুবলীগের সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন মো: হুমায়ুন কবির, মো: শহিদুল ইসলাম, মো: জিয়াউর রহমান, মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা, মো: নাসির উদ্দিন সোহাগ, সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, জাকি হোসেন জুকু, সৈয়দ জাকির হোসেন প্রমূখ। এদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি পদে দেখতে চান তৃনমূলের নেতা কর্মীরা। তবে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনটির নেতৃত্বে মাই ম্যান বসাতে মূল দলের আলোচিত এক নেতাও এখন মরিয়া।
এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক পদ নিয়ে ১৫-২০ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি গনমাধ্যমে উঠে আসায় বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়ে ছাত্রলীগ। পরে সংহঠনের ইমেজ রক্ষায় জেলা থেকে কমিটি ঘোষনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা ঘোষিত উপজেলা কমিটি স্থগিত করে দেয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: শফিকুল আলম
বাবুল বলেন, ‘উপজেলা যুবলীগ নিষ্ক্রিয় বলে যারা মন্তব্য করে তারা হাইব্রীড। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত সভাপতি-সম্পাদক পদের জন্য অর্থ লেনদেনের খবরে আমি অনেকটা শংকিত।’
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ’আমরা উপজেলা
সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে পদ প্রত্যাশীদের বায়োডাটা জমা দেবো। যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সম্পাদক মহোদয়ের সমন্বয়ে যাচাই বাছাই শেষে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে।’
অ্যাডভোকেট শহিদুল আরও বলেন, দীর্ঘদিন জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। স্বচ্ছতার সাথে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করছি। কমিটি নিয়ে কোন রিউমার যুবলীগের নেই।’