হামলা বন্ধ না করলে ইসরাইলকে ‘সুদূরপ্রসারী পরিণতি’ ভোগ করতে হবে ইরানের হুশিয়ারি
গাজায় ইসরাইলের নিরবিচ্ছিন্ন বোমা বর্ষণের ফলে চলমান রক্তপাত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। ‘খুব দেরি’ হওয়ার আগেই ইসরাইলকে যুদ্ধ থামাতে বলেছে দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান লেবাননে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরাইলকে এ সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলি বর্ণবাদের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি ঘটতে পারে, যার দায় জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং কাউন্সিলকে মৃত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলোর।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে তা বন্ধ করতে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে ইরান। না হলে দখলদারী দেশটিকে অবিনাশী ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেহরান।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় হামলা সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আকাশ, সাগর ও স্থল পথে হামলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার জানিয়েছে, প্রস্তুতির মাত্রা বাড়াতে এবং বড় ধরনের স্থল অভিযানের প্রস্তুতির জন্য ইসরাইলজুড়ে বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে গাজায় জেনেভা কনভেনশনও মানছে না ইসরাইল। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির হামাস সেনাদের নিধনের নামে নিরীহ-নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
প্রাণ বাঁচাতে কোথাও নিরাপত্তা পাচ্ছে না গাজার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই নতুন করে স্থল, সাগর ও আকাশপথে অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। এ ধরনের অভিযান বন্ধ করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছে ইরান, সৌদি আরব এবং জাতিসংঘ।
গাজার পরিস্থিতি ‘সম্মিলিত শাস্তি’র সমান বলে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন কর্মকর্তারা সম্প্রতি বারবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু কারও আবেদনই আমলে নিচ্ছে না ইসরাইল।