প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভুল-ত্রুটি হতে পারে আদালতে ড. ইউনূস
মানুষ তো আর ফেরেশতা নয় মন্তব্য করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হবেই। এখন আদালতে এসেছি ন্যায় বিচার চাইতে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) শ্রমিক ঠকানোর মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হয়ে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেতে অবদানের কথা তুলে ধরে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ড. ইউনূস। মামলা থেকে অব্যাহতির লিখিত আবেদনও করেন অধ্যাপক ইউনূসসহ ৪ আসামি। দুপুর ১টা থেকে টানা ৩টা পর্যন্ত চলে শুনানি। মামলায় যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয় ১৬ নভেম্বর। ওইদিনও ড. ইউনূসকে হাজির হতে হবে।
আদালত থেকে বের হয়ে এই নোবেলজয়ী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভুল-ত্রুটি হতে পারে। তবে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য কিছু করিনি। মানুষ তো আর ফেরেশতা না। ফলে কাজে আমার বা প্রতিষ্ঠানের যেকারও ভুল হতে পারে। সে ভুল শুধরে নেয়ারও সুযোগ থাকে। এখন আদালতে ন্যায় বিচার চাইতে এসেছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘একজন দেশপ্রেমিককে আজ কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। শুধু তাই নয় গত ২ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ মামলার তিনটি তারিখ পড়েছে। আমার ওকালতি জীবনে এমনটা কখনও দেখিনি। এ মামলা এখন মেট্রোরেলের চেয়ে ১০ গুণ গতি চলছে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, তিনি পুরোপুরি ভুল বার্তা দিচ্ছেন। এখানে কোনও নোবেলজয়ীকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন। আমরা সে বিষয়টি নজরে এনেছি। আশা করি আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কে অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।
এ মামলার সাজার পরিমাণও মনে করিয়ে দেন বাদীপক্ষের এ আইনজীবী।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে শ্রমিকদের লভ্যাংশের টাকা জমা না দেয়া, চাকরি স্থায়ী না করা, বাৎসরিক ছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি করা হয়।
এ ছাড়া নোবেলজয়ী ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ দুদকের করার মামলার তদন্ত চলছে।