নির্বাচনে বিচারিক হাকিম থাকবেন ৬৫৩ জন, অপরাধে তিন থেকে সাত বছরের দন্ড
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার জন্য বিচারিক হাকিম থাকবেন ৬৫৩ জন। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়কে চাহিদা পত্র দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কোন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে তার বিচার করবেন এই বিচারিক হাকিমেরা। আমরা রিকোজিশন দিয়েছি। তারা ভোটের আগে দু’দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দু’দিন কাজ করবেন। অর্থাৎ কাজ করবেন ৫ দিন।
যুগ্ম সচিব জানান, নির্বাচনি তদন্ত কমিটিতে জুডিসিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে উনারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘণ করা হলে বিচারিক হাকিমরা তদন্ত করতে পারবেন। তারা শুধু রিপোর্ট দিতে পারবেন। স্ব উদ্যোগে তদন্ত করতে পারবেন।
তিনি জানান, কমিশন যদি বলে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, আপনারা রিপোর্ট দেবেন। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দন্ড দিতে পারেন। এই কমিটির ফলে আচরণ বিধি লঙ্ঘন কমবে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টা। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি কমিটি হয়েছে। আগে বিচারিক কর্মকর্তারা যারা আসতেন তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সব সময় এই কাজ করবেন। আশা করা যায় তারা আইনানুগভাবে বিধি লঙ্ঘন হলে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে তারা মাঠে রয়েছেন। আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার থেকে চূড়ান্তভাবে কাজ করবেন তারা।
বিচারিক হাকিমের বিষয়ে তিনি বলেন,বিচারিক হাকিমরা আইন অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার বিনষ্ট করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, এই সমস্ত অপরাধগুলির সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন। এই দন্ডগুলো একটু বেশি, তিন থেকে সাত বছর আছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।