তাইজুল আড়ালে থাকেন কেন?

শেয়ার করুন

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জিতে দারুণ এক সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে হার এড়াতে পারলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেন, সব ম্যাচ জেতার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। তবে সিলেটে প্রথম টেস্টে যে তীব্রতা নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ, মিরপুরে তারই পুনরাবৃত্তি দেখাতে প্রস্তুত নাজমুল হোসেনরা…

একাদশ ও কম্বিনেশন নিয়ে
এটা উইকেটের ওপর নির্ভর করবে। সিলেটে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে পাঁচদিন ভালোভাবে লড়াই করেছি। আমাদের শক্তি অনুযায়ী সেখানে একাদশ সাজানো হয়েছিল। মিরপুরে অনেক সময় মাঠে নামার আগে বোঝা যায় না যে, উইকেট কেমন আচরণ করবে। এমনকি কয়েকটি সেশন খেলার পরও বোঝা যায় না। তবে আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।

পেস বোলারদের নিয়ে ভাবনা
কন্ডিশন বুঝে একাদশ ঠিক করা হয়। সঙ্গে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে ট্যাকটিক্যালি বিষয়টা সামলানো হয়। মিরপুরে শেষ ম্যাচ আমরা খেলেছিলাম আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেটা ভিন্ন উইকেট ছিল। আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলেছিলাম।

দলের প্রতি বার্তা
সিরিজ শুরুর আগে দলের প্রতি যে বার্তা ছিল, এখনো একই বার্তা থাকছে। নিজেদের শক্তি বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ছেলেরা তরুণ, কিন্তু দক্ষতার দিক থেকে তারা বেশ ভালো। যখন তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয় জাতীয় দলের বাইরে এনসিএল বা এমন কোনো প্রতিযোগিতায়, তারা ভালো খেলে। এই বিষয়টা আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটেরও ভালো বিজ্ঞাপন। বিষয়টা ফলাফলের নয়। ফল ভিন্ন হতেই পারে, কিন্তু পাঁচদিন পর্যন্ত শক্তি ধরে রাখা জরুরি। সিলেটে যেভাবে তারা লড়েছে সেভাবেই আবার কাজটা করুক।

নাজমুলের অধিনায়কত্ব
অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব কিন্তু আলাদা বিষয়। অধিনায়কত্ব সে দারুণ করেছে। ম্যাচে সব সময় এক ধাপ এগিয়ে ছিল। দারুণ ফিল্ডিং সাজিয়েছে। কখনো সে প্রথাগত ধারার বিপরীতে গিয়ে ফিল্ডিং সাজিয়েছে, কিন্তু বেশ সফল ছিল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সে অধিনায়ক থাকবে কি না, সে বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তাকে আমি দাবিদার হিসাবে দেখছি।

দিনবদলের আভাস?
সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব নয়। আমরা এখানে যা করছি তা হলো আমাদের ক্রিকেটের জন্য, আমরা যে সংস্কৃতি গড়তে চাই, তার জন্য ঠিক কাজটা করে যাচ্ছি। সেটা ঠিকঠাক হলে ফল এমনিতেই ভালো হতে থাকবে। এটা ভাবা যাবে না যে, আমরা প্রতিটি ম্যাচই জিতব। এই ম্যাচটি শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। তবে একই লক্ষ্য ও তীব্রতা নিয়ে শুরু করতে চাই।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে লক্ষ্য
আমরা আগে ঘরের মাঠে জিততে চাই। বাইরে আমরা লড়াই করব। এটাই বাস্তবসম্মতভাবে করতে পারি। আমাদের ভালো পেস বোলার আছে। বাইরের দেশে কন্ডিশন ভিন্ন থাকবে, এ মুহূর্তে আমাদের যে তরুণ খেলোয়াড় আছে, তারা যে কোনো কন্ডিশনে খেলতে পারবে। আমাদের প্রস্তুতি দরকার।

নাঈম হাসান ও তাইজুলের বোলিং
নাঈম এনসিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সে আÍবিশ্বাসী, ভালো ছন্দে বোলিং করছে। ম্যাচে আমরা সেটা দেখেছি। সে তার ভ‚মিকা নিখুঁতভাবে পালন করেছে। সে ব্যাটারদের মধ্যে সংশয়

তৈরি করেছিল। কেইন উইলিয়ামসনকে সে ভুগিয়েছে, তার ফলটাও পেয়ে যাচ্ছিল। তাকে নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
তাইজুল যখন ভালো করে, তখন তাকে নিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে। আমরা তাকে নিয়ে ড্রেসিংরুমের ভেতরে অনেক কথা বলি। সে অনুশীলনে বেশ মনোযোগী, যেভাবে সে প্রস্তুত হতে চায়, সেটা সে খুব নিখুঁতভাবে করে। সে মানসিকভাবে খুব শক্ত। তার মধ্যে হেরাথের ছায়া রয়েছে। সাকিব আল হাসান থাকলে তাইজুলি আড়ালে পড়ে যায়।


শেয়ার করুন

Similar Posts