আপিল শুনানি শেষে নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ২২৬০ জন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপিল শুনানি শেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬০ জন। তবে, মোট কত প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকছেন তা নির্ধারণ হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন।
ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। আর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল ১ হাজার ৯৮৫ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম কমিশনের মিডিয়া সেন্টার সাংবাদিকদের ব্রিফিং এ বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি, মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৬ দিনে আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে ৫টি মঞ্জুর বা ৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, ২টি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়ালো ২ হাজার ২৬০ জন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে হাইকোর্টে দু’টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয় গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই হয়, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত এই আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর রোববার। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর সোমবার। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। দেশের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্রের ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে এবার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।