রোমানিয়ার কন্যা আমতলীর বধু, হেলিকপ্টারে স্বজনদের দেখতে আগমন

শেয়ার করুন

রোমানিয়ার কন্যা সিমনা বধু হিসেবে আমতলীতে এসেছেন। তাকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষের ভীর করেছে। আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে উষ্ম অভ্যার্থনায় অভিভুত বধু।

জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে নাশির মাতুব্বর কাজের সন্ধানে ২০০৩ সালে ইটালীর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। চার বছর জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ২০০৭ সালে ইটালী পৌছেন তিনি। ওইখানে তিনি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। কাজের সুবাদে রোমানিয়ার বাসিন্দা সিমনার সঙ্গে তার দেখা হয়। আলাপ চারিতায় মন দেয়া-নেয়া। চার বছর চুকিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০১৩ সালে তাদের প্রেমের পরিনত হয় প্রনয়ে। ওই দম্পতির দাবিদ নামের পাঁচ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ইটালী প্রবাসী নাশির বর্তমানে গার্মেন্সের ব্যবসা করেন। ভালোই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।

বৃহস্পতিবার স্বজনদের দেখতে হেলিকপ্টারে বধু ও পুত্র সন্তান নিয়ে আমতলী আসেন নাশির। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরন করে। এ সময় শত শত উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভীর জমায়। ওই দম্পতিকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানায় স্বজনরা। রোমানিয়ার কন্যা আমতলীর বধু সিমনা উৎসক জনতাকে হাত নেরে অভিভাদন জানান।

ইটালী প্রবাসী নাশির মাতুব্বর বলেন, চারটি বছর জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ইটালী গিয়েছে। ওইখানে গিয়ে কাজের সুবাদে রোমানিয়ার কন্যার সিমনার সঙ্গে দেখা হয়। দেখা থেকে প্রেম, প্রেম থেকে প্রনয়। আমরা এখন ভালোই আছি। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হেলিকপ্টারে বধু, ছেলে দাবিদকে নিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আবার চলে যাব।

আমতলীর বধু সিমনা বলেন, আমরা ছেলে সন্তান নিয়ে ভালোই আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রবাসী দম্পতি ভালোভাবেই আমতলী এসে পৌছেছেন। তাদের জন্য বেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন

Similar Posts