জালভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ, কর্মকর্তারা সাসপেন্ড : ইসি হাবিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি জাল ভোট পড়লেই প্রমাণসাপেক্ষে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজন্টেসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা হবে। পরবর্তীদের তদন্তসাপেক্ষে তাদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান হাবিব বলেন, অতীতের কোনো উদাহরণ নয়, ভবিষ্যতের অনুকরণীয় একটি নির্বাচন উপহার দেব। এ ছাড়া নির্বাচনে দুষ্কৃতকারীদের কোনো ছাড় নেই। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী যত শক্তিশালী হোক বা দুর্বলই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেননা সবাই কমিশনের কাছে সমান। শতভাগ নিরপেক্ষতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। আগামী নির্বাচনের দিকে দেশি-বিদেশিসহ সবাই তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ নির্বাচন করেছি। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভুতপূর্ব কাজ করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারাও নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন যে- সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতে তাদের কাজ করতে পারে সেজন্য আইনের অনেক সংশোধন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাজের সুবিধার জন্য তাদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের কাজে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।