বিশ্ব ইজতেমা: ইবাদতে মশগুল মুসুল্লিগণ,রোববার আখেরি মোনাজাত
লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি, জিকির- আসকার ও তাবলীগের দেশী-বিদেশী মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্যদিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে। তাবলীগের লাখো লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্ধ শতাধিক দেশের ২ হাজারের বেশি মুসল্লী রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমার কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনে চার ওয়াক্ত নামাজ শেষে বয়ান, তালিম যৌতুকবিহীন বিয়ে, তাসকিলে নতুন করে চিল্লায় নাম লেখানো এসব কর্মসূচি রয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজরের পর বয়ান করেন ভারতের মুম্বাইয়ের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তরজমা করছেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। বাদ যোহর গোধরার মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুহাইরুল হাছান ও বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা বয়ান করবেন। আসরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধ পূর্বক গণ বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে। ইজতেমায় আরো একজন মুসল্লী বার্ধক্য জনিত কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ এ।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ধ্বনিতে তুরাগ নদী তীরবর্তী বিশাল এলাকা যেন পবিত্র পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিরাজ করছে এক অভূতপূর্ব ভাবগম্ভীর পরিবেশ।
আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার ইজতেমা সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে পোশাক কাজ করছেন। সিসিটিভি ও ওয়াচটাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করছেন।