সীমান্তে উত্তেজনা: নতুন বিজিবি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহন

শেয়ার করুন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই এ দায়িত্ব বুঝে নিলেন তিনি।

আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদায়ী মহাপরিচালক নাজমুল হাসানের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।

বিজিবিতে যোগদানের আগে আশরাফুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক ও সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আশরাফুজ্জামান ২৭তম বি এম এ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন তিনি। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ কোর্সও সম্পন্ন করেন।

দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নিযুক্তিতে বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন আশরাফুজ্জামান। তিনি পাঁচটি আর্টিলারি ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া একটি আর্টিলারি রেজিমেন্ট ও দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ড করেছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ইন্সট্রাক্টর, একটি পদাতিক ডিভিশনের স্টাফ অফিসার গ্রেড-৩, একটি পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর এবং একটি পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন নবনিযুক্ত বিজিবি প্রধান।

এ ছাড়াও তিনি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশন ইথিওপিয়া (ইউএনএমইই) এবং সুদান (ইউএনএমআইএস) এ অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গেও মিশন সম্পন্ন করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সচিবালয়ে শান্তিরক্ষী মিশন অপারেশন্স (ইউএনডিপিকেও)-এ ফোর্স জেনারেশন অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আশরাফুজ্জামান।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে গত বছর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) লড়াই চলছে। মাঝে কিছুদিন উত্তেজনা কমে এলেও কয়েক দিন ধরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে জান্তা সেনারা।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৯৫ জন জান্তা সেনা প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর।

এদিকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।


শেয়ার করুন

Similar Posts