সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান আর নেই
সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার ছোট পাইককান্দি গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্মরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআরইউতে ও বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি কর্ম জীবনে দৈনিক মানবজমিন, কালের কণ্ঠ, সকালের খবরে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি।
সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের মৃত্যুতে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত; ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন; ফরিদপুর জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকার (এফজেএফডি) সভাপতি ইসারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাবেক সভাপতি অমরেশ রায় এবং ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক প্রফেসর মো. শাহজাহান ও সাবেক সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
লায়েকুজ্জামান ১৯৮০ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন দুই বাংলার ২৮ শীর্ষ ছাত্রনেতার সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘অজানা ১৯৭১’ বইসহ অসংখ্য বইয়ের লেখক ছিলেন তিনি।