পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর (পিএমকে) কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুন

জাতীয় পর্যায়ের আর্থ-সামাজিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পল্লীমঙ্গল কর্মসূচী (পিএমকে) এর কর্মী সম্মেলন-২০২৪ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএর) এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফসিউল্লাহ্।

প্রধান অতিথির তাঁর বক্তেব্যে বলেন, এমআরএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমএফআই সমূহের কার্যক্রমকে একটি শৃংখলা এবং একই কাঠামোতে সংযুক্ত করা। মাইক্রোফাইন্যান্স কার্যক্রমের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সম্পর্কে সরকার ও এমআরএ ওয়াকিবহাল। এই সেক্টরে বিশেষভাবে বর্তমানে দেশে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএর) এর সনদপ্রাপ্ত প্রায় ৭৩৭টি এমএফআই রয়েছে। পিএমকে বর্তমানে প্রথম ১০টির মধ্যে অবস্থান করছে।

মো. ফসিউল্লাহ্ আরো বলেন আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের আর্থিক সেক্টরে এমএফআই’র প্রভাব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই সেক্টরের ডিজিটালাইজেসনের উপর সরকার গুরুত্ব আরোপ করছে। দারিদ্রতা হ্রাসকরণে এমএফআই সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মাইক্রোফাইন্যান্স কার্ক্রমের বর্তমান চ্যালেন্স এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা উল্লেখ করে সরকার ও এমআরএ’র গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন আর্থিক সেক্টরের বর্তমানে ব্যাংকের পরেই এমএফআই সমূহ অবস্থান করছে। তিনি বলেন, এমএফআই দুর্বল হলে মহাজনি প্রথা আবারও নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠবে, যা আর্থিক সেক্টরের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে উঠবে।

কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএমকে-এর সাধারণ ও নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম. সিরাজুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন পিএমকে‘র মানব সম্পদ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপক রিয়াদ মাহমুদ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ২৭ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে এনজিও বিষয়ক ব্যূরো, জয়েন্ট ষ্টক এ্যান্ড কোম্পানী, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ)’র অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক-অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সংস্থার সম্পৃক্ততা রয়েছে। দেশের শীর্ষ ২০টি এমএফআই (গঋও)’র মধ্যে পিএমকে অন্যতম। সংস্থাটি বর্তমানে দেশের ৩৪টি জেলায় ৩২১টি শাখার মাধ্যমে ক্ষুদ্র অর্থায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সংস্থার অধিনে “পিএমকে হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার” ও “পিএমকে নার্সিং কলেজ” নামে দু’টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগির সহায়তায় অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এমআরএ’র নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক বলেন, পিএমকে একটি স্বচ্ছ সম্প্রস্বারণশীল প্রতিষ্ঠান, পিএমকে’র অগ্রগতিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন ভবিষ্যতেও এই প্রতিষ্ঠান তার অবস্থান অক্ষুন্ন রাখবে।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পিএমকে’র প্রধান নির্বাহী কামরুন নাহার, উপ-প্রধান নির্বাহী দেওয়ান ফয়সাল, পিএমকে হাসপাতালের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ কাজী সুদীপ্তা কবির। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পরিচালক (কার্যক্রম) জনাব মোঃ তুাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফসিউল্লাহ অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন পর্যায়ে পিএমকে-এর শ্রেষ্ঠ কর্মীদের পুরষ্কৃত করা হয়। তাছাড়া পিএমকে নার্সিং কলেজ-এর কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান। এরপর প্রধান অতিথি সবশেষে “সর্বজনীন পেনশন স্কীম” কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।

নিউজফ্ল্যাশ/ এসএস।


শেয়ার করুন

Similar Posts