মন্ত্রিসভায় আরো নতুন ১০ মুখ আসছেন! শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুনদের শপথ

ফাইল ফটো।
শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে। নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা ৮ থেকে ১০ এর কাছাকাছি। কাল শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গুঞ্জন চলছিল দু-একদিনের মধ্যে বাড়ছে মন্ত্রিসভার আকার। নতুন করে যুক্ত হতে পারে সাত থেকে আট নতুন মুখ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। অবশেষে রাতেই বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নতুন মুখদের শপথের কথা।

জানা গেছে, আরও একজন পূর্ণমন্ত্রী, চারজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী যোগ হতে পারেন মন্ত্রিসভায়। যদিও কারা এই নতুন মুখ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

মন্ত্রিসভা আকার বাড়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, তার কাছে এমন কোনো সংবাদ নেই। তিনি জানার পর বিস্তারিত বলতে পারবেন।

সরকারি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার দু-একজন সিনিয়র মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকেও তিন-চারজন আসতে পারেন।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেয় নতুন মন্ত্রিসভা। এতে অভিজ্ঞ ও নতুন মুখ নিয়ে ৩৭ জন সদস্য জায়গা পান। মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়ার বিষয়ে শুরু থেকেই আলোচনায় রয়েছে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্য বাড়বে।

সংসদে ৪৮ সংরক্ষিত নারী সদস্যের মনোনয়ন দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দিয়েছিল দুজনকে। তাদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই। এখনও দুটি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়নি। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনায় রয়েছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় বড় বড় বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ে আগে একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী ছিলেন।

সূত্র বলছে, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত একজনকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ওই নারী সদস্য এবার দ্বিতীয় দফায় সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। আগের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন শামসুল আলম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি একজন পূর্ণ মন্ত্রী দেয়া হয়েছে বরাবরই। এবার এখন পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একাই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী কিংবা বিভাগ ভাগ করে আরেকজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।


শেয়ার করুন

Similar Posts