গাজীপুরে মালামাল কিনে ডাকাতির আসামি হলেন ব্যবসায়ী রাসেল
গাজীপুরের এক ব্যবসায়ী কারখানার মালামাল কিনে ডাকাতি মামলার আসামি হয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের পর দুদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া শহিদুল ইসলাম রাসেলের স্বজনরা জানান, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম রাসেল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানার পাশে দোকান দিয়ে দুই বছর ধরে কার্টুন সহ পুরাতন মালামালের ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি তিনি নগরের পোড়াবাড়ি এলাকার সান ইয়ার্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কারখানার কর্মচারী আশরাফ আলীর কাছ থেকে পুরাতন মাল হিসেবে প্লাস্টিক তৈরির উপকরণ ২২৮ বস্তা পিপি দানা ক্রয় করেন। এ ঘটনায় কারখানার ম্যানেজার মশিউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে প্রায় ১১ লাখ টাকা মূল্যের পিপি দানা লুণ্ঠনের অভিযোগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জিএমপির সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মালামলের ক্রেতা ব্যবসায়ী রাসেল ও কারখানা কর্মচারী আশরাফ আলী সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ওই মালামাল ডাকাতির অভিযোগে ব্যাবসায়ী রাসেলসহ তিনজনকে গত বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) আদালতে তুলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী রাসেলের স্ত্রী অনার্স ডিগ্রীধারী জুয়েনা আক্তার জানান, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নগদ টাকায় তার স্বামী রাসেল ওই মালামাল কিনেছেন এবং মালামাল ক্রয়ের ক্যাশ মেমো ও রয়েছে। রাসেল নিজে মালামাল আনতে ওই কারখানায় যাননি। কারখানার লোকজন কাভার্ড ভ্যান দিয়ে মালামাল তার দোকানে পৌঁছে দিয়ে গেছে। অথচ এখন রহস্যজনক কারণে তিনি ডাকাতি মামলার আসামি হয়েছেন। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি এর সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া রাসেলের চাচা চিরকুমার যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম হারিজ জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার একটি রাজনৈতিক চক্র গত
১৫ বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে এবং আমার পরিবারের উপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার ভাতিজার বিরুদ্ধেও এই মিথ্যা মামলা হয়েছে বলে মনে করি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার আশা করছি।
এ ঘটনায় সদর মেট্রোপলিটন থানার ওসি রাফিউল করিম জানান, মামলাটি দায়েরের পর তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা বের করার জন্যই রিমান্ডে আনা হয়েছে। অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।