‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় নিয়ে এসেছেন’

শেয়ার করুন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় নিয়ে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ ও জাতীয় পতাকা পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতীর গর্বিত সন্তান। তাঁদের জীবন, ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সুতরাং আজকের দিনে এ সন্মান আপনাদের প্রাপ্য। আমরা আপনাদের সংবর্ধনা দিয়ে নিজেদের গর্বিত বোধ করছি। আপনারা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের আদর্শ।’

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সরকারী মোজাহার উদ্দীন বিশ্বাস কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কলাপাড়া ইউএনও মো: রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী মহিব আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭মার্চ তাঁর ভাষনে বলেছেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তিঁনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেন নি। ১৫ আগষ্ট মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্র ব্ঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের সকল অর্জন থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আপনাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। এবং সকল অপশক্তি ও চক্রান্ত রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, এসি ল্যান্ড কৈৗশিক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: হুমায়ুন কবির, কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ প্রমূখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় নেতা কর্মী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও উপজেলা প্রশাসন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পন করেন প্রতিমন্ত্রী। সকাল ১০টায় সরকারী মোজাহার উদ্দীন বিশ্বাস কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম প্রদান ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় কলেজ মাঠে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে আকর্ষনীয় ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। পরে দুপুরে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোড, গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মহিলাদের অংশগ্রহনে বিশেষ ক্রীড়ানুষ্ঠান, উপজেলা পরিষদ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ও প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।


শেয়ার করুন

Similar Posts