ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ: নারী অধ্যাপককে মাটিতে ঠেসে হাতকড়া পরালো যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ!

শেয়ার করুন

ঠিকানা ডেস্ক


ফিলিস্তিনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ এখন তুঙ্গে। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এক মার্কিন নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরানোর ঘটনা ঘটেছে। আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।



মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর প্রচার করা ভিডিওতে দেখা যায়, আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের সময় একজন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।


অধ্যাপক ক্যারোলাইন ফোহলিন বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কেন এমন করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিন’।


এই কথা বলার পরপরই একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মাটিতে ফেলে দেন। অন্য একজন পুলিশ এসে অধ্যাপককে মাটিতে ঠেসে ধরেন। এরপর দু’জন মিলে তার দুই হাত পিঠের পিছনে এনে হাতকড়া পরিয়ে দেন। ফোহলিন তখন বার বার বলতে থাকেন ‘আমি একজন অধ্যাপক’।


গত সপ্তায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো শুরু করেন।


এরপর দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। গত বুধবার ( ২৪ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে লস এঞ্জেলেস, বোস্টন এবং অস্টিন, টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।


গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক জ্বালানি এবং টেজার ব্যবহার করে পুলিশ।


ছাত্র বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছেন। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর সরকার।
সূত্র:এনডিটিভি


শেয়ার করুন

Similar Posts