“মোগো সব গ্যাঙ্গে লইয়্যা গ্যাছে. মোরা এ্যাহন কোম্মে থাকমু”

শেয়ার করুন

মোগো সব গাঙ্গে লইয়্যা গ্যাছে। মোরা এ্যাহন কোম্মে থাকমু। আলহে থাকার একটা ঘর হ্যাও বইন্যায় বাঁধ ভাইঙ্গা শ্যাষ অইছে। এ্যাহন আর থাহার জায়গা নাই। পোলাপান নাতি লইয়্যা মোগো ঢাহা যাওয়া লাগবে। পোলায় মাছ আনাচ ধইর‌্যা সোংসার চালাইতে আর এই ঘরডায় থাকতাম, এ্যাহন থাকমু কোম্মে। আল্লায় মোগো সব লইয়্যা গ্যাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোরে যদি একটা থাহার ঘর দেতে হ্যালে মুই বুড়া বয়সে থাকতে পারতাম। কান্না জনিত কন্ঠে এ কথা বলেছেন পশুবুনিয়া এলাকার বৃদ্ধা সুর্য্যভানু।

জানাগেছে, উপজেলার পশুরবুনিয়া গ্রামের মজিদ তালুকদার একসময় তিন একর জমির মালিক ছিলেন। গত ২০ বছরে কড়াল গ্রাস পায়রা নদীর ভাঙ্গণে তার সমুদয় জমি বিলিন হয়ে যায়। পশুরবুনিয়া পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে শুধু ঘর নির্মাণ করার মত এক খন্ড জমি ছিল। ওই জমিতে মৃত্যু মজিদ তালুকদারের স্ত্রী সুর্য্যভানু একটা দো-চালের ঘর নির্মাণ করে দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করতো। কিন্তু রেমাল বন্যার প্রভাবে বাঁধ ভেঙ্গে ওই ঘর তছনছ হয়ে গেছে। এখন তার মাথা গোজার মত ঠাই নেই। তিনি চোখে অন্ধকার দেখছেন। দুই ছেলে ও তার নাতি-নাতনি নিয়ে তিনি কোথায় দাড়াবেন? তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকায় জায়গা ও ঘর নির্মাণ করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইসহাক মুসুল্লী বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলার ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কিন্তু সেটা বন্যায় ভেঙ্গে গেছে।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, বৃদ্ধা সুর্য্য ভানুর থাকার মত কোন জায়না নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে তাকে সরকারী জমিতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সুর্র্য্যভানুর মত যারাই ক্ষতিগ্রস্থ তাদের পুর্নবাসন করা হবে।


শেয়ার করুন

Similar Posts